Categories
Abaya story

The Evolution of Abaya

#আবায়ার_বিবর্তন ১

আবায়া শুধু একটা পোশাক নয়
এটি একটি সংস্কৃতির অংশ

আবায়ার ইতিহাস যেমন পুরনো তেমনি এর ধরনের ও রয়েছে অনেক বিবর্তন ও পরিবর্তন। কি অনেকে দেশের জন্য আবায়া একটি জাতীয় পোশাক ও সংস্কৃতির অংশ।

বিশ্বের ৯০ শতাংশ মুসলিম দেশের অধিকাংশ মহিলারা আবায়া পরিধান করেন না। তাই ২০১৮ সালে সৌদি আরবে মহিলাদের আবায়া পরায় বাধ্য করা যাবেনা বলে আইন পাশ হয়। কেননা এটা তাদের জাতীয় পোশাক এবং ঘরের বাইরে বের হলেই তাদের আবায়া পরিধান করা বাধ্যতামূলক ছিল।

ফ্যাশন সচেতনতায় এখন আবায়া নতুন রুপে আবির্ভাব হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ইসলামিক ফ্যাশন ও কাউন্সিল এর প্রধান আলিয়া খান মনে করেন আবায়াকে একটি ধর্মীয় পোশাকের চেয়েও তাদের কাছে সংস্কৃতির অংশ৷

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে মডেস্ট ফ্যাশন বা আবৃত পোশার এর জন্য খুব জনপ্রিয় এই আবায়া। তবে এখন অনেকেই আবায়ার পাশা পাশি লম্বা সার্ট, কোট, সামনে লং কাট দেয়া কিমোনো , পালেজ্জো এগুলোর সংমিশ্রণ এর মাধ্যমের মডেস্ট পোশাক বেছে নেন ও পরিবর্তন আনেন নিজেদের পোশাকে৷

সৌদি আবায়া ডিজাইনার হাসেম আকিল মনে করেন আবায়া শুধু এখন ধর্মীয় পোশাকে সীমাবদ্ধ নেই সেখানে এখন যায়গা পেয়েছে নানা ধরনের মিশ্রন, এমব্রয়ডারি কাজ, কারচুপির, মুক্তা খচিত কাজ এর মাধ্যমে আবায়াকে আরো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছ। এমনকি সব ধরনের ফ্যাশন ডিজাইনাররা এদিকে নিজের আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

আবায়া ও মডেস্ট পোশাক এর জনপ্রিয়তার জন্য বিশ্বের সব ব্রান্ড যেমন – ডলসে, গাবানা, কেরোলিনা হেরারা এখন শুধু মাত্র মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোর জন্য আলাদা ভাবে আবায়া ডিজাইন করছেন প্রতিনিয়ত।

আকিল আরো মনে করেন যে সৌদি আরব ও অন্যান্য মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোতে এখন আবায়ার প্রতি ভালোবাসার জন্য এখন সব ধরনের শৌখিনতার জন্য আবায়াকে বেছে নেয়া হচ্ছে। যেহেতু দেশ গুলোতে সবার আর্থিক সংগতি রয়েছে তাই সব ফ্যাশন হাইজ গুলো সব চেয়ে দামী আবায়া গুলো প্রতিনিয়ত বাজারে আনছেন।

** ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

Categories
Abaya story

Interesting Abayas

Most expensive abaya in the world

ডায়মন্ড দিয়ে মোড়ানো আবায়া

বলছি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি আবায়ার কথা। ২০১৩ সালে দুবাইয়ে এই আবায়া প্রথম প্রদর্শন করা হয় যার ডিজাইন করেন বিখ্যাত হলিউড পোশাক ডিজাইনার ডেবি উইংহ্যাম।

দুবাইয়ের প্রতি ডেবির দুর্বলতা থাকার কারনে তিনি তার নতুন পোশাক সিরিজের জন্য এই আবায়াটি ডিজাইন করেছিলেন। দুবাইকে তিনি তার সেকেন্ড হোম মনে করেন।

পৃথিবীর সব চেয়ে মুল্যবান লাল ডায়মন্ড আবায়ার মুল্য ১ কোটি ১৭ লক্ষ বা ১০ মিলিয়ন যাকে পৃথিবীর সব চেয়ে মুল্যবান কাপড় হিসেবে ধরা হয়ে থাকে৷

এই আবায়ার এতোটা মুল্যবান হবার প্রধান কারন হচ্ছে পৃথিবীর সব চেয়ে দুর্লভ লাল ডায়মন্ড যা প্রতি ১০ কোটি তে একটি করে খুজে পাওয়া যায়!

এই আবায়াতে মোট ২০০ টি ডায়মন্ড ব্যবহার করা হয়েছিল ৫০ টি ২ ক্যারেট এর সাদা ডায়মন্ড, ৫০ টি ২ ক্যারেট এর কালো ডায়মন্ড। বিশাল দুর্লভ লাল ডায়মন্ড ও ১৮৯৯ টি পয়েন্টার ডায়মন্ড যা পুরোপুরি বসানো ছিল প্লাটিনাম এর উপরে।

আবায়া জুরে এই কারুকাজ কর‍তে ২ লক্ষ সেলাই ফোড় দেয়া হয়েছে যা পুরোটাই হাতের সেলাই মেশিনে না আর যা পুরোটা করা হয়েছে ১৪ ক্যারেটের সর্নের উপরে৷

এই সিরিজের আবায়া গুলো কেউ নিতে চাইলে তাকে ডেবির এপয়েনমেন্ট নিতে হবে আগে। ব্যক্তিগত ভাবে সে তার সাথে দেখা করে ডেবির অনুমতি সাপেক্ষে দেখে নিতে পারবেন।

**ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

হিজাব নিয়ে ভাবনা

হিজাব নিয়ে ভাবনা!

আমি ক্লাস এইট থেকে অফিশিয়ালি আবায়া শুরু করি তার আগে আমি একদম ছোট্ট বেলা থেকে মানে একদম পিচ্ছি বেলা থেকেই মাথায় একটা হিজাব পড়তাম।

বাচ্চারা মাদ্রাসায় পড়তে যেতে যেভাবে পরে সেভাবে। আর কোন মতেই সেই হিজাব মাথা থেকে ফেলতাম না! না মানেই না। এটা আমার নিজের একটা অংশ মনে হত। এত খেলা করতাম দৌড় ঝাপ করতাম মাঠে মাঠে থাকতাম তাও এই হিজাব অর স্কার্ফ এর নরচর হত না!

আব্বু ইমাম হওয়ার ফলে বাসায় ধর্মীয় একটা আবহ সব সময় দেখার ফলে আমার কখনো মনে হয়নি এটা আমার উপর চাপিয়ে দেয়া! বরং আমি অপেক্ষা করতাম কবে বড় হয়ে আপুদের মত বোরখা পরব 😁

ক্লাস সিক্স এ ওঠার পরে আমি ক্রস বেল্ট এর সাথে ইয়া বড় এক ওড়না ঝুলিয়ে স্কুলে যেতাম আর বড় আপুরা মানে ৮/৯/১০ এর আপুরা আমাকে ক্লাস এ ডেকে নিয়ে খুব হাশা হাশি করত আবার অনেকের কাছে কিউট লাগত তাই ডেকে নাম ধাম জিজ্ঞেস করত আর আমিও খুব ভাব নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতাম। আমার নিজের দুই আপুও সেই একি স্কুলে পড়ত কিন্তু ওরা আমাকে পাত্তাই দিতনা অই সময় আমি দুর থেকে ওদের আড্ডা দেখতাম টিফিন টাইমে আর ভাবতাম বড় হলে আমিও তোমাদের সাথে ভাব নিব হুহ 😑😑।
নেয়া হয়নি আসলে কারন আমি বড় হয়ে এখন ওদের সাথেই আড্ডা দেই 😁 😁

১০ এ উঠে নিকাব শুরু করলাম আর আস্তে আস্তে নিকাবি হয়ে গেলাম তার পর অনার্স এর সময় বা তার আগেই আপুরা সব নিজেরা কাপড় কিনে বোরকা বা আবায়া বানিয়ে দিত।

ঈদের সময় বান্ধবীর বাসায় বোরকা পরে যেতাম আর তারা আমাকে বলত “এত সুন্দর ড্রেস পরে কি লাভ বলত তুইতো বোরখা পরেই থাকিশ! ” অনেক প্রস্তাব দিত বাইরে বেড়াতে যাওয়ার সময় খুলে যাবি কিন্তু আমি এদিক দিয়ে একদম সায় দিতাম না। কারন এটাই আমার আসল পরিধান মনে হত এখনো তাই হয়।

এর পরে অনার্স লাইফের আগেই নিজেরাই নিজেদের আবায়া ডিজাইন করে বানানো শুরু করলাম তাতে অনেকের অনেক কথা শুনেছি আর এখন সেই মানুষ জন আমাকে তাদের জন্য কিছু কিনে বা বানিয়ে দিতে বলে অথবা ফেসবুক এ ছবি দেখেই আমাকে ফোন দিয়ে বলে এটা বানিয়ে দিতে 😁😁

অনার্স লাইফে এত এত বোরখা পরেছি আর এখনো পরি সবাই একটা কথাই বলে তুমি এত এত বানাও না কিন! আমি বানাই নিজেই বানাই অন্যকে শখ করে বানিয়ে দেই গিফট দেই অনেক আগে থেকেই। এখনো দুইজন কাজিন এর আবদার আছে মিস্টি কালার এর আবায়ার জন্য। যা লাস্ট মিটাপে পরেছিলাম।

অনার্স এর ভাইভা তে একজন সহপাঠী বলেছিল তুই এক কাজ কর ভাইভার দিন এভাবে আসিস না। ইংরেজিতে অনার্স করা মেয়েদের এমন পোশাক মানায় না। কিন্তু আমি এই পোশাকেই ভাইভা দিয়ে সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ 😍😍

এত এত ইতিহাস লেখার একটাই কারন আজকে ভাইয়া আমাকে বলেছিলেন কাকলী Kakoly Russell Talokder আপুর সব পোস্ট পড়তে। আর আপুর পোস্ট পড়তে পড়তে আমার মনে হল আপু যেভাবে তার জামদানী নিয়ে ক্রেজি আমিও এই হিজাব আর বোরকা নিয়ে কম কাঠ খর পোরাইনি।।এমন পাগলামির অনেক অনেক গল্প আছে এই হিজাব নিয়ে। পরে সময় করে লিখব ইনশাআল্লাহ।

Razib Ahmed ভাইয়া এত এত পোস্ট পরে এগুলো সব মনে পড়ে গেল কিন্তু লিখতে পারছিলাম না মেয়ের জন্য। কয়েকদিন ধরে কিছু লিখতে পারছিনা হাতেই আসছেনা কিছু। তবুও হাল ছাড়ব না। ব্যবসা না করি কিন্তু নিজের গল্প তো সবাইকে বলাই যায় নাকি 😁😁

** আমার ভাবনার সাথে কেউ কেউ এক মত নাও হতে পারেন। তাই প্লিজ কস্ট পাবেন না। আমি সবার নিজস্ব মতামত কে স্রদ্ধা করি। সবাই দোয়া করবেন এভাবেই যেন বাকি জীবন হিজাব নিয়েই পার করতে পারি ইনশাআল্লা।