Categories
Customer Reviews

সনিয়া পারভিন – বোরখা

“Abaya story” থেকে একটা বোরখা অর্ডার করেছিলাম। ইচ্ছা ছিল মুনিরা আপুর প্রথম কাস্টমার হবার। আলহামদুলিল্লাহ প্রথম কাস্টমার হয়েছি। আপুকে ইনবক্সে বোরখার মাপ বলে দিয়েছিলাম। কি ম্যাটেরিয়াল হবে কেমন বানাবে এসব নিয়ে আমার কোন টেনশন ছিল না। আমি আপুকে খুব রিলাক্স হয়ে বোরখাটা বানাতে বলেছিলাম যেন কোন প্রেসার না নিতে হয় তাকে। সবকিছুর প্রথম বলে একটা কথা থাকে। প্রথম কাজ ভুল হতেই পারে তাই আমিও কোন টেনশন মাথায় নেইনি। আপুর উপর ছেড়ে দিয়েছিলাম।

বোরখা

আজ বোরখা ডেলিভারি পেলাম। গতরাতে আপু জানিয়ে দিয়েছিলেন যে উনি ডেলিভারির জন্য দিয়ে দিয়েছেন। আজ দুপুরে ডেলিভারি পেয়ে গেলাম আলহামদুলিল্লাহ। সাথে সাথে বোরখাটা পরে ফেললাম আপুকে ছবিও পাঠালাম। ডিজাইন,মাপ ,কাপড় সবই আলহামদুলিল্লাহ সন্তোষজনক ছিল। প্রথম হিসাবে কোন ত্রুটি রাখেনি আপু। ডেলিভারি ও এত তাড়াতাড়ি দিতে পেরেছেন আলহামদুলিল্লাহ।

বেশি ভালো লেগেছে আপুর লেখা ভালোবাসা মাখা এই  চিরকুট টা। কত সুন্দর করে লিখেছেন মাশাআল্লাহ!! তার মানে উনি কাজ প্রথম করলেও উনার প্ল্যান অনেক আগে থেকে গোছানো ছিল, এজন্য প্রথম ডেলিভারিটা উনি এত সুন্দর ভাবে করতে পেরেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা  Sirajum Munira আপুকে। আপনার’ Abaya story’অনেক দূর এগিয়ে যাক দোয়া করি।

Categories
Customer Reviews

রুবাইয়া স্বর্ণা – খিমার

আসসালামু আলাইকুম

উই এ বিক্রি না হলেও উই থেকে প্রথম কেনাকাটা করেই ফেললাম।আমার আপুমনির জন্য খিমার অর্ডার করেছিলাম Abaya Story এর Sirajum Munira আপুর থেকে। প্রথমে খিমারের হাতায় একটু সমস্যা হলে আপু নিজে থেকে আরেকটি নতুন হাতা সেলাই করে পাঠিয়ে দেন। ঈদের আগে ভাবা যায়! কাস্টোমারকে খুশি করতে আপুর জুড়ি নেই। খুব শীঘ্রই আরেকটা খিমার অর্ডার করবো আপুর কাছে। আপুর জন্য শুভকামনা আপুর কাছে আমিও শিখলাম। আমার জন্যও সবাই দোয়া করবেন। সুযোগ পেয়ে নিজের পরিচয়টাও দিয়ে যাই—

স্বর্ণা

স্বত্তাধিকারীঃ লাল পিরাণ

Categories
Customer Reviews

জান্নাতুল ফেরদৌস হেনা – আবায়া

Sirajum Munira আপুর আবায়া স্টোরির গল্প শুনে আর আপুর ডিজাইন দেখে লোভ সামলাতে পারিনি। আপু নিজেই  ডিজাইন করেন।কাপড় সিলেকশনও আপুর মাশাআল্লাহ। আম্মুর জন্য প্রথম অর্ডার করার জন্য আপুকে নক দেই,আপু ডিজাইন এর বেশ কিছু ছবি পাঠান।দেখে নিজের ও সাথে ছোট বোনের জন্যও অর্ডার করে ফেলি।

আবায়া

ছবি দেখে কালার প্রিন্ট কেমন হবে এমন ভয় কাজ করে মাঝে মাঝে, তবে মুনিরা আপুর কাজের প্রতি আস্থা ছিলো দেখে তেমন টেনশন হয়নি।মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর করেই ৩টা কাপড় ম্যাচিং করে ডিজাইন কমপ্লিট করেছেন।সবার পছন্দ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। ধন্যবাদ আপু….

Categories
Customer Reviews

Sonali Farhad – খিমার সেট

রিভিউ  

আসসালামু  ওয়ালাইকুম

থেকে কেনাকাটা  করে খুবই  আনন্দ  পাচ্ছি। একটার পর একটা কিনেই যাচ্ছি নিজের পছন্দের  প্রয়োজনীয় সবকিছু। বেশ কিছুদিন হয়েছে খিমার টি Sirajum Munira আপু থেকে নিয়েছি। কিন্তু  পারফেক্ট  ছবি তুলতে পারছিলাম না বলে রিভিউ টি দিতে দেরি  হয়ে গেলো।

খিমার সেট

কি বলবো আপুর খিমারের কথা?

এতো ভালো  কাপড়ের  খিমার আমি অন‍্য কোথাও থেকে পেতাম না এটা ১০০% ভাগ নিশ্চিত। অনেক শখ করে খিমারটি আপুর দ্বারা বানিয়েছি। আপু আমার আস্থা , ভরসা  ও ভালোবাসা  জিতে নিয়েছেন নিজের পারফেক্ট কাজের মাধ‍্যমে।

এভাবেই  আপু এগিয়ে যাবেন সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে। অনেক ভালোবাসা  মুনিরা আপুর জন‍্য। আর অনেক অনেক শুভ কামনা  আপুর আবায়া স্টুরির জন‍্য।

Categories
Customer Reviews

খিমার সেট

আবায়া কুইন হিসেবে উইতে আমরা সবাই এক নামে চিনি Sirajum Munira আপুকে। আপু নিজেই ডিজাইন করে আবায়ার।  আপুর আবায়ার হাতার ছবি যে কতজন নকল করেছে তা বলে শেষ করা যাবে না। আপুর আবায়া পড়ে সবাই যেমন খুশি হয়েছে দিয়েছেও তেমন সুন্দর সুন্দর রিভিউ। আবায়া পড়লেও যে কাউকে এতো সুন্দর লাগে তা Hafsa Siddiky আপু, মিতাশা রহমান খান আপুকে না দেখলে বুঝতাম না। তাই আম্মুর জন্য ঠিক করলাম সিরাজুম মুনিরা আপুর থেকেই খিমার সেট নিব। আম্মুও পছন্দ করলেন হাফসা আপুর খিমার সেট। আসলে আমরা সবাই মিলে এই সেটটার নাম দিয়েছি হাফসা আপুর খিমার সেট। আমি যখন মুনিরা আপুকে নক করি বলি হাফসা আপুর খিমার সেট লাগবে আপু। আপুও বলে ঠিক আছে। আপু রেডী করে পাঠিয়ে দেয়।

হাতে পাওয়ার পর বুঝলাম সবাই কেন এতো পছন্দ করে। এতো সুন্দর খিমার সেট। এতো ভালো কাপড় কোয়ালিটি।  সফট আর সুন্দর সেলাই ফিনিশিং। আম্মুকে এখনো পাঠাইনি। ভিডিও দেখিয়েছি পড়ে। সবাই এতো পছন্দ করেছে বিশেষ করে আম্মু। বলেছে এতো সুন্দর। যাক গিফট পেয়ে যখন কেউ খুশি হয় গিফট দেয়াটাই সার্থক হয়ে যায়। ধন্যবাদ সিরাজুম মুনিরা আপুকে এতো সুন্দর উদ্যোগের জন্য। সাথে সুন্দর একটা হিজাব পিন গিফট করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার আবায়া স্টোরির জন্য।

খিমার সেট
Categories
Customer Reviews

ফারজানা আক্তার জিলবাব খিমার

আবায়া স্টোরি এর জিলবাব খিমার বোরকা যেটাই বলি না কেনো সবগুলোই দাম এবং গুণগত মান খুবই ভালো ধন্যবাদ তাদের কে এত সুন্দর একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দেওয়ার জন্য আমাদের কে, আমি যে খিমার নিয়েছি ওটা খুবই সফট আর আরামদায়ক।

Categories
Abaya Abaya story

Why abaya was black?

আবায়া কালোই কেন ছিল?

আবায়া নিয়ে পড়তে যেয়ে একটা মজার বিষয় পেলাম। আবায়ার প্রচলন শুরু হবার পরে আরব নারীরা কালো বোরখাই কেন পরতেন?

তাদের হাতের কাছে থাকা সহজ লভ্য জিনিস দিয়ে তারা আবায়া বানাতেন আর তখন খুব সহজ লভ্য ছিল ছাগল বা বকরীর চামরা! আর তা দিয়েই তারা আবায়া বানাতেন!

চিন্তা করলেও অবাক লাগে মরুভূমির বুকে তপ্ত গরমের মাঝে নিজেদের আবৃত রাখতে তারা ছাগলের চামড়ার মতো মোটা কিছু গায় জরাতে দিধা করেনি!

আরেক যায়গায় আছে যে এক লোকের প্রথম আবায়ার দোকান ছিল বাজারে আর সে সব কালো আবায়া রাখতেন সেখান থেকেই এই প্রচলন!

তবে গরমের সাথে কালো রং টার খুব রেশারেশির কারনে এখন কালোর যায়গায় অনেক ধরনের আবায়া আস্তে আস্তে সবার মাঝ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তবে কালোর আবেদন কখনোই কমে যায়নি৷

Categories
Abaya story

Manners of Abayas

আবায়ার আদবকেতা ১
(রং নির্বাচন)

আমরা যারা বোরখা পরি আমাদের এই পোশাকেই আমাদের সব যায়গায় ঘুরে বেড়াতে হয়। হোক তা পার্টি, অফিস, স্কুল, কলেজ অথবা সমুদ্রের পাড়।

আমরা যেহেতু এটা দিয়েই পর্দা করি আবার এটাই নিজেকে প্রেজেন্ট করি তাই সব কিছু মাথায় রেখেই কিন্তু একটা বোরখা বা আবায়া নির্বাচন করতে হয়। সেটা আমি ফিল করি।

পোশাকের খেত্রে অনেকের অনেক রকম পছন্দ থাকে তবে আবায়া অথবা বোরখা ইকটু ঢিলেঢালা করে বানালে দেখতেও ভালো লাগে আবার পর্দায় ও হেরফের হয়না। তাই আমার গুলো কয়েক ইঞ্চি ঢিলেঢালা থাকে। তাতে পরেও আরাম পাওয়া যায়।

অফিসের আবায়া নির্বাচন এর খেত্রে হাল্কা রং অথবা এমন কিছু গাড় রং নির্বাচন করা উচিত যা চোখের আরাম দিবে আবার দৃষ্টি কটু হবে না৷ যেমন বাদামী, হাল্কা সবুজ, আকাশী, ক্রিম, হাল্কা নীল, গাড় রং এর খেত্রে সব সময় কালো, ডিপ নেভি ব্লু , কফি এসব হতে পারে৷

আবার পার্টি আবায়া নির্বাচন এর খেত্রে যে কোন রং এর হতে পারে। তবে কাপড় টা যেন অতিরিক্ত চকচকে না হয়। তাতে কেমন যেন আবায়ার সাথে বেমানান একটা রং হয়ে যায়। আমি বেশিরভাগ পার্টি আবায়া হাল্কা রং এর। মাঝে মাঝে হালকা রং গুলো তেও আভিযাত্য প্রকাশ করা যায়।

স্কুল কলেজ এর স্টুডেন্ট দের জন্য সব রং এর সব ধরনের আবায়াই সুন্দর হবে। কেননা এই বয়স টাই রংগীন। নানা ধরনের নানা রং্যের প্রজাতির মত চারদিকে ঘুরে বেড়াবে বাধাহীন। যদিও আমি স্কুলে ব্লাকই বেশি পরতাম, একদিন আব্বু হজ্জ থেকে একটা কালাফুল আবায়া নিয়ে আসছিলেন সেটা পরায় সবাই খুব হাশা হাশি করেছিল 😁😁

তাই এখন আমার কলেজ পড়ুয়া ভাগ্নীকে আমি সব ধরনের আবায়া হিজাব কিনে দেয়ার চেস্টা করি৷ সব রং পরে এখন থেকেই বুঝুক কোনটা তার পছন্দ। তবে রেগুলার ব্যবহার এর জন্য কালোটাই ভালো। কারন তারা খুব দ্রুতই পোশাক ময়লা করে ফেলেন 😁।

বয়স ভেদে আবায়ার রং নির্বাচন। বয়সের খেত্রে রংটা গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাদের সব রং ভালো লাগবে, মানে আমার চেয়ে ছোট যারা 😂, সবাইকে আমার পিচ্চি লাগে। আর বড়দের মানে আমাদের নিয়ন রং গুলো ছাড়া সব ধরনের রং মানিয়ে যাবে আশা করি। আবার আমাদের মায়েদের জন্য ব্লাক, কফি, ব্রাউন, ডিপ পিচ এগুলো ভালো মানানসই হবে।

আবার আমরাই যখন রেগুলার বাইরে হাটতে যাওয়ার জন্য অথবা বাচ্চাদের স্কুল থেকে আনা নেয়া করার জন্য ইকটু গাড় রংকেই প্রাধান্য দিব। এক পার্ট এর এক কালার অথবা তা হতে পারে প্রিন্টেড কাপড় এর।

Categories
Abaya story

The Evolution of Abaya

#আবায়ার_বিবর্তন ৩

আবর বিশ্বের ফ্যাশন বিশারদ, রিম ইল মুতাওয়ালি, যিনি পি এইচ ডি করেছেন আরব সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস নিয়ে, তিনি তার লেখা অনেক গুলো বইতে আবায়ার বিবর্তন কে বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে বিভিন্ন যুগে বিবর্তন এর ইতিহাস অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।

তেল আবিষ্কার হবার আগে আবায়া ঃ

তেল আবিষ্কার এর পুর্বে আবায়া ছিল খুবই ব্যায়বহুল ও উচ্চবিত্তদের আভিজাত্যের অংশ। তাদের আবায়া ছিল কাফতান এর মতো চারকোনা একটি আকৃতির কাপড় যার গলার দিকে সোনালী রং এর অসাধারণ কারুকার্য থাকতো৷ এই আবায়া শুরু মাত্র ব্যবসায়ী ও শেখ দের স্ত্রীরাই পরতেন।

সাধারণ মেয়েরা বিশাল কালো রং এর হিজাব বা ওড়না জড়িয়ে নিতেন শরীরের অর্ধেক টুকু ঢেকে রেখে তাকেই আবায়া হিসেবে ব্যবহার করতেন।

১৯৭০ দশকের আবায়া ঃ

এই সময়ে আবায়া জনপ্রিয়তা পেল বিভিন্ন সিল্ক এর মাধ্যমে যা অনেক টা ভারি ছিল আগের আবায়া গুলোর মতো সচ্ছ না। বিভিন্ন ধরনের আচার অনুষ্ঠান এ আবায়া পরে যাবার প্রচলন শুরু হলো। তখন আবায়া হতো মাথার উপরে থেকে কোমড় এর নিচ পর্যন্ত। কুচি দিয়ে কোমড়ে ও হাতার মাঝে একটা সামনজস্য রাখা হতো৷ আর আবায়া ছোট হবার ফলে আবায়ার নিচে পরা কাপড় দেখানো হতো।

১৯৮০ দশকের আবায়া ঃ

এখন আমরা আবায়া বলতে যা বুঝি এই সময়ে তা আসলে প্রথম প্রকাশ পায়। কাধ থেকে পা পর্যন্ত একদম সারা শরীর আবৃত রাখার মতো ডিজাইন তখন সৌদি আরবে প্রচলিত হয় আর সাথে আবায়ার সাথে মিলিয়ে চিকন একটা হিজাব মাথা ঢাকার জন্য৷ তখন কালো রং এর সব ধরনের কাপড় এর আবায়ার প্রচলন ও ডিজাইন দেখা যায়৷ সচ্ছ ভারি সব ধরনের কাপড়ের মাঝে নানা ধরনের ডিজাইন এর বাহারি আবায়া।

১৯৯০ দশকের আবায়া ঃ

আবায়ার পুর্ববর্তী ডিজাইন চলমান থাকে এই সময়েও আর সাথে সাথে নানা ধরনের এমব্রয়ডারি ও জমকালো লেস এর ব্যবহার শুরু হয়। আবায়াতে জাকজমক ভাব নিয়ে আসা হয় নানা ধরনের ডিজাইন এর মাধ্যমে। আবায়ার সাথে হিজাব কে এক সেট আকারে তুলে ধরনের হয় ওমানের লোকদের পরা টিউনিখ এর মতো। ইসলামি পোশাক হিসেবে আবায়া সবার কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায় কেননা এক কাপড়ে সুন্দর ভাবে নিজেকে আবৃত রাখা যায়।

২০০০-২০১০ দশকের আবায়া ঃ

আবায়ার কাট ও ডিজাইন নিয়ে অহেতুক পরীক্ষা চলানো শেখ হয় ফলাফল আবায়া পায় কিছু কিম্ভূতকিমাকার ডিজাইন। প্রজাপতি, ব্যাট অথবা যে কোন পাখা ওয়ালা আকৃতি যার অনেক গুলো পার্ট থাকবে এমন ডিজাইন সব দিকে ছড়িয়ে পরে। কোমড়ের দিকে মোটা অথবা চিকন বেল্ট হিসেবে ডিজাইন যোগ হয় আবার কিছু কিছু আবায়ার সাথে হুডি জুড়ে দেয়া হয় প্রাচ্যের ডিজাইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে।


২০১০ – বর্তমান কালের আবায়া ঃ

বিভিন্ন রং ও ধরনের আবায়া ও হিজাব নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট শুরু হয় এই যুগে। ব্যক্তিত্ব প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে, সচেতনতা মুলক পোশাকে সাথে সাথে আভিজাত্যপূর্ণ ডিজাইন আবায়ার মাঝে প্রকাশ পাওয়া শুরু করে। আরব দেশের ডিজাইনার গন অনুপ্রেরণা খুজে পান নিজেদের ডিজান গুলো বহির্বিশ্বের ডিজাইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বানাতে।


বিবর্তন এর মাধ্যমের পুর্বের সব ধারনা ও ধরন ভেংগে দিয়ে আবায়া এখন নিজের আলাদা একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে পুরো বিশ্বে। আবায়া এখন শুধু মাত্র নিজেকে আবৃত করার জন্য একটি পোশাক না। নিজেকে ও নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের একটা মাধ্যমের পরিনত হয়েছে। আবায়া পরিধান কারী মেয়ে ও নারীরা এখন নিজের কর্মস্থলে অথবা যে কোন আচার অনুষ্ঠানে নিজেকে আলাদা ভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম এই আবায়ার মাধ্যমে।

Categories
Abaya story

The Evolution of Abaya

#আবায়ার_বিবর্তন ২

অনেকেই বাধ্য হয়ে নয়
ভালোবেসেই আবায়া পরে থাকেন

একদিকে ২০১৮ সালে সৌদি আরবে ঘরের বাইরে আবায়া পরার বাধ্যতামূলক আইন তুলে নিয়ে নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা দেয়া হচ্ছে অপরদিকে আইন তুলে নেবার পরেও একদল নারী নিজেদের আবায়ার প্রতি ভালোবাসা থেকেই আবায়াকে সাথে রাখতে চাচ্ছেন।

সৌদিতে জন্ম গ্রহণ করা নুর আল তামিমি, যার নিজের উদ্দোগ নাম The Nou Project যেটা দুবাইয়ের খুব জনপ্রিয়, মনে করেন ” আবায়া আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ, ইন্ডিয়াতে যেভাবে শাড়ি পরা হয় আমরা সেভাবে আবায়া পরি। ” তাই তিনি দুবাইতে আবায়া না পরলেও সৌদিতে সব সময় আবায়া পরেই চলাচল করেন সাচ্ছন্দ্য নিয়ে।

আবায়া এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্য এর অংশ অনেকের কাছে। সৌদির ফ্যাশন ডিজাইনার আরওয়া আল বানাউই এর মতে, ” জাপানের কিমোনো যেমন তাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ, আবায়া আমার কাছে ঠিক তেমন “

“আবায়াকে নতুন রুপে আধুনিক যুগে উপস্থাপন করা একটা চ্যালেঞ্জ সব সময় তাই আমি যখন আবায়া ডিজাইন করি এর প্রধান বৈশিষ্ট্য থাকে সহজে পরার মতো যে কোন যায়গায় উপস্থাপন করার মতো ও আধুনিক সব কিছুর সাথে মানানসই, ” বলন আরওয়া।

যখন দুইজন ডিজাইনার তাদের আবায়ার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে এই কথা গুলো বলছিলেন সাথে সৌদি আইনের প্রতি সন্মান রেখেই তারা জানালেন এটাই হওয়া উচিত। কাউকে যোর করে কিছু চাপিয়ে দেয়ার চেয়ে তাদের নিজেদের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেয়া উচিত।

সব চেয়ে মজার ব্যাপার তাদের মতে মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোর চেয়ে ওয়েস্টার্ন দেশ গুলোতে ডিজাইনার আবায়ার চাহিদা অনেক। অনেকেই নিজেদের এই সব পোশাকে সাজাতে পছন্দ করেন কেননা এই সব পোশাক এর মুল হচ্ছে নিজেকে সম্পুর্ন ভাবে আবৃত রাখা।

আবায়ার এই জনপ্রিয়তার অনেক গুলো কারন অনুসন্ধান করার সাথে সাথে তারা মনে করেন আবায়া কখনো বিলুপ্ত হবেনা এই আইনের ফলে কেননা এই আধুনিক যুগে মুসলিম নারীরা নিজেদের ব্যাক্তিত্ব প্রকাশের স্বাধীনতা পাচ্ছেন আর আবায়া এখন আর একটি পোশাকে সীমাবদ্ধ নেই প্রতিনিয়ত তা নতুন রুপে নানা সৃজনশীলতার মাধ্যমে হয়ে উঠছে আভিজাত্যের প্রতীক।

ধন্যবাদ সবাইকে। আবায়ার বিবর্তন এর তৃতীয় ও শেষ ভাগ আগামীকাল লেখা হবে ইনশাআল্লাহ।