দেরি হওয়ার জন্য আগেই সরি বলে নিচ্ছি আপু।। প্রথম খিমারটা পড়ে আমার বোনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম “বলতো আমাকে কেমন লাগছে?” তার দার্শনিকের মতো উত্তর ঃ “যতো দামি জিনিস ততো উন্নত সিকিউরিটি সিস্টেম। দেখোনা স্বর্ণ অলঙ্কার মানুষ লকারে লক করে রাখে! নারী আল্লাহর তৈরী সবচেয়ে দামী জিনিস, তাই তাদের ও নিজেকে লক করে রাখা উচিত !! তোমাকে একেবারে সুলতানাদের মতো লাগছে আপু “”খিমারসেটটি পরলে আমার কাছে নিজেকে সত্যি সত্যি সুলতানা মনে হয়। এত্তো আরাম, মনে হয় মখমলের ড্রেস পড়ে আছি। সময় ও সুযোগের অভাবে ছবি উঠাতে পারিনি আপু তাই রিভিউ দিতে অনেক বেশি দেরি হয়ে গেলো।আবারো সরি।
আপনাকে আমি অনেক পেরেশানি দিয়েছি। কিছু মনে করবেন না। বোন ই তো বোনকে জ্বালাবে তাই না!!
উই তে চলছে শাল এর মেলা। দেশী শাল কিনি আর না কিনি আমরা যেন অন্তত দেশী শালের পোস্ট গুলোতে লাইক কমেন্ট করি এটাই Razib Ahmed স্যার বলেছেন, তাতে দেশী শালের প্রচার বাড়বে,দেশী পন্যের অগ্রগতি হবে। এতো সুন্দর সুন্দর দেশী শালের ভিড়ে নিজে না কিনে তো বসে থাকতে পারিনি তাই আমি নিয়েছিলাম Sirajum Munira আপুর থেকে এই সুন্দর নীল শালটি কি যে সুন্দর!! সেদিন Monika Ahmed মনিকা আপুর মিট আপ এ পরেছি আর সবার প্রশংসা পেয়েছি। ভালো লাগছে যখন বাসা থেকে বার হচ্ছি শালটা পড়ে তখন মা (শ্বাশুরি) আমার বাসায় ছিলেন, উনি দেখে বললেন- খুব সুন্দর তো শালটা আর তোমাকে খুব ভালো লাগছে আলহামদুলিল্লাহ।
আম্মাকে খালি বলেছিলাম পোজ দাও।বাকিটা আপনারাই দেখেন।আমার আম্মা শালটা খুবই পছন্দ করছে।অনেকবার বলেছেন।উনার ভাল লাগছে এত বড় আর চওড়া শাল সেই জন্য। আমি আম্মাকে ভাল করে বুঝিয়ে বলেছি আমাদের দেশি শাল,উনার বিশ্বাস করতে একটু সময় লেগেছে কিন্তু মেনেছে।এটা আমারও শান্তি। আমি দেশি পন্যের ব্যবহার নিশ্চিত করছি আমার ঘরে এবং আসেপাশে ও।
জীবনে কত কেনাকাটা করেছি, কত গিফট পেয়েছি, কিন্তু এই হিজাব টা আমার জন্য অন্যরকম কিছু। আর এ কারণে ই আপুর সাথে এই কেনাকাটা আমার সারাজীবন স্মৃতিময় হয়ে থাকবে। আপুর হিজাব কেনাকাটার দিন, স্যার এর কমেন্ট দেখে দৌড়ে আপুকে মেসেজ দিলাম যে হিজাব কিনবো৷ একটু পর দেখি আমাকে মেনশন করেছেন Md. Daloare Hossain ভাইয়া, যেন হিজাব চুজ করে।। টোটালি এক্সপেক্টেড ছিলোনা। হঠাৎ এমন একটা মেনশন পেলে কেমন লাগতে পারে এ অনুভূতি প্রকাশ করার মত না।। দেলোয়ার ভাইয়া ধন্যবাদ দিলে অনেক কম হয়ে যায় ভাইয়া। আপনার জন্য সব সময় অনেক অনেক দুয়ায়া। Sirajum Munira আপু খুউউউব আরাম পাচ্ছি, আজ ছেলে কে ডাক্তারের কাছে নিলাম৷ কতক্ষন ধরে আছি কিন্ত মনে হচ্ছে না কিছু পরে আছি এত লম্বা সময় ধরে। দেশীয় হিজাব বেস্ট আলহামদুলিল্লাহ।
মা কে এত বোরখা কিনে দিয়েছি, কিন্তু কোনটা ই শেষ মেশ পড়তে পান না। একটু স্বাস্থ্য জন্য বাজারের সুন্দর রেডিমেট বোরখা গুলো মা র হলেও এত ফিটিং হয় যে নিঃশ্বাস নিতে পারে না এমন এবং মা আরাম ফিল করেনা।।। মা সব সময় বলেন আমি নাকি তাকে মেয়ের মত খেয়াল করে দেখি সব সময়। তার দরকার নাকি বুঝে ফেলি।। অনেক দিন থেকে আপুর ক্রেতা হওয়ার খুব ইচ্ছা। এত ভালো লাগে আপুকে। পরে হঠাৎ ই মনে হলো মা র বোরখা দিয়ে ই শুরু হোক। চয়েছিং নিয়ে বেশ সময় নিয়েছি, আসলে মা র জিনিস তো বুঝে উঠছিলাম না, কোন টা ভালো লাগবে। লাস্টলি এটা নিলাম। মাপ দিলাম। এবং আপু টা সুন্দর পরিপাটি ভাবে বানিয়ে দিলেন।।। আসলেই এত বেশি সুন্দর হইছে। মা কে আমি কুরিয়ার এ ই পাঠিয়ে দেই। সেটা পরেই মা আমার বাসায় এসছেন এবার।।। খুব খুব পছন্দ করেছেন। এটা ই শান্তি আমার জন্য।।। ইভেন মা খুব খুশি যে বোরখা টা যাদের দেখিয়েছেন সবাই পছন্দ করেছে। খুশি টা মুখে ই বুঝা যাচ্ছিলো৷ আসলে এই বয়স টা ই এমন, বাচ্চাদের মত। কেউ প্রশংসা করলে খুশি লাগে৷৷ মা র ছেলের বৌ বানিয়ে পাঠাইছে, সেটা আবার বিল্ডিং এর সবাই চুজ করছে এ খুশি মার হাসিতে ই বুঝতে পারছিলাম।।।মুনিরা আপু সব কিছুর পিছনে কিন্তু আপনার ই অবদান। এই শান্তি গুলো ই প্রাপ্তি। কোয়ালিটি নিয়ে বলার কোন অপেক্ষা ই থাকেনা, পড়ে ঘুমিয়ে পরা যাবে৷ এত তুলতুল আরাম অনেএএএএক ধন্যবাদ আপু। ভালোবাসা এবং দুয়া থাকবে আপু সব সময়।।। শুভকামনা Abaya Story র জন্য।
★★★আপুর কাজ, আপুর ব্যবহার, আপুর কাস্তোমার সার্ভিস এ সত্যিই আমি মুগ্ধ।।। অবশ্যই আপুর কাস্টমার হবো ইন শা আল্লাহ।।।। মনে হচ্ছে এখন ই আমার আম্মুর জন্য বানাতে দেই, কিন্তু আর কিছুদিন পরে ইন শা আল্লাহ দিবো।।। আপু সত্যিই খুব খুব খুশি আপনার বোরখা টা পেয়ে মা কে খুশি করতে পেরেছি তাই।।। মা কে পোজ দিয়ে ছিবি ও তুলেছি ।
N.B: এই বোরখা টা স্যার এ গ্রুপে এক্টিভ হওয়ার আগে বানাতে দেয়া। সো ভাবার কোন অপশন নেই স্যার কে দেখে এখানেও তাল দিতে এসেছি৷ (আসলে ইদানীং এই কথা খুব বেশি শুনতে পাই যে আমি অতিরিক্ত তাল দিচ্ছি )।।।
নতুন বছর শুরু হলো নতুন উদ্যোমে। নতুন করে পথ চলা, নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করার আরও একটি সুযোগ পাওয়া গেল আরো একটি বছরে । আর নতুন বছরটা শুরু করলাম Abaya Story থেকে নেয়া হিজাব পড়ে এবং Rakimun Binte Maruf Joya আপুর পরিধান শৈলী এর হাফসিল্ক শাড়ি পড়ে । আলহামদুলিল্লাহ এতই আরামদায়ক শাড়ি ও হিজাব ।যেমন খুশি তেমন করে পরা যাচ্ছে, আর পরে ও খুব আরাম আরাম লাগছে। এত সুন্দর একটা হিজাব দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ Sirajum Munira আপু।
উই তে একটিভ হওয়ার পর থেকে আপু কে চিনি।আপুর স্টোরি টেলিং টা আমার বেশ ভালো লাগতো। তারপর একদিন দেখলাম পিচ কালারের খিমার পরা হাফসা আপুর রিভিউ! মাথা পুরাই আউলাই গেল।প্রথমে নিজের জন্য নেওয়া প্লান থাকলেও পরে ডিসাইড হলো ভাবি ও নিবে সাথে আম্মু ও! তো আর কি প্রিয় Sirajum Munira আপুকে বললাম ৩ খানা খিমার আমার চাই। আপু এতটা আন্তরিক কথা না বললে বুঝতেই পারতামনা।আপু একদম মাপ মত সব গুলো বানিয়ে দিয়েছেন।আর কাপড়ের কোয়ালিটি খুবই ভালো।বেশ আরামদায়ক আর সফ্ট।
আবারও অনেক ধন্যবাদ আপু এত দারুণ একটা জিনিস আমাকে পরার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
যখন থকে উই গ্রুপে এসেছি প্রতিনিয়ত দেশীয় পণ্য সম্পর্কে জেনেছি। নতুন নতুন দেশীয় পণ্য দেখে কিনতে এবং ব্যাবহার করতে আগ্রহ পেয়েছি। অনেক অনেক পণ্য যা আমাদের দেশেই তৈরি হচ্ছে, শুধু না জানার কারণে আমাদের ব্যাবহার করা হোতো না!! তেমনই এক পণ্য দেশীয় হিজাব। Sirajum Munira বু যখন দেশীয় হিজাবের নিয়ে কাজ করতে সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন তখন হিজাব বলতেই আমরা দুবাই, চায়না, মালয়েশিয়া থেকে আগত হিজাব বেশী দেখতাম চারপাশে। তবে মুনিরাবু ঠিক দেশীয় হিজাব খুজে বের করে সবার সামনে নিয়ে এসেছেন। রংবেরঙের হিজাবগুলো দেখলেই ভালো লাগতো আমার। আমি নিজে হিজাব পরি তাই আমার হিজাবের প্রতি টান বেশী। হিজাব কেনার বাতিক ও আছে আমার। প্রচুর হিজাব আমার স্টকে। তাই নতুন করে হিজাব কিনবো না কয়েকমাস এমনটাই ঠিক করেছিলাম!! তবে, মনিকা আপুর মিটআপে সামনাসামনি হিজাবগুলো হাতে নিয়ে দেখে আর রাখতে পারিনি। দুইটা নিয়ে নিয়েছি। হিজাবটা যদিও একটু সিল্কি মনে হয় তবে পরার সময় বূঝলাম পরতে কত আরাম। মাথা থেকে পরে যায় না, আর যেভাবে ইচ্ছা সেট করা যায় মাশাআল্লাহ।
সুন্দর সুন্দর বাহারি রঙের দেশীয় হিজাবের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মুনিরাবু….
Sirajum Munira আপুর আমি রিপিট কাস্টমার। আগে দুইটা হিজাব নিয়েছি।কিন্তু রিভিউ দেয়া হয়নি। কিন্তু এই শালের রিভিউ না দিয়ে পারছিনা।
কারণ শাল এর কালার টা যেমন আমার পছন্দের ডিজাইনটাও অনেক সুন্দর।তার চেয়েও বড় কথা শাল টা রবিন ভাই এর গিফট আমার জন্য। আজকে সন্ধ্যায় বের হয়েছিলাম শাল টা পড়ে।এতো লাইট ওয়েট যে শাল পড়েছি কি পড়িনি বুজতেই পারিনি।ক্যারি করা সহজ।পড়ার পর থেকে মনে হচ্ছিলো একটা রিভিউ না দিলেই নয়। ধন্যবাদ মুনিরা আপু সুন্দর শালের জন্য। নেক্সট এ নানুর জন্য আবায়া নিচ্ছি ইনশআল্লাহ।
আসসালামুয়ালাইকুম,প্রিয় উইয়ের প্রানবন্ত দেশি পন্যের উদ্দোক্তা ভাইয়া আপুরা,আশা করি ভালো আছেন সবাই,আজকে কিছু কথা শেয়ার করতে আসলাম।
আমি দেশি পন্যতে বিশ্বাসী একজন ক্রেতা,
আগে আমার টাইম লাইন দেখে নিজের খুবই বিরক্ত লাগতো,কত আজেবাজে লেখা ফালতু টপিক দিয়ে ভরপুর ছিলো,তাতে না ছিলো কোন উপকার না ছিলো কোন শিক্ষনীয় কিছু,
উইতে জয়েন হয়ে সময় দিলাম কেমন গ্রুপ এটা দেখি,কথা কাজ কেমন তাও বুঝতে চাইছি,,যখন রাজিব স্যারের পোষ্ট দেখলাম, এখান থেকে কেউ কিছু কিনলে যেনো এক্টিভিটি চেক করে এক্টিভ মেম্বারদের থেকে কিনে, বাইরে থেকে কেউ কিছু কিনলে দায়ভার কারো নেই তখন নিজের ভিতর খটকা লাগলো, চিন্তা করলাম কয়েক দিন সময় দেই কিছুদিন পর বুঝতে পারছি যা কিছুই হোক অন্তত আমার চাহিদা পূরণ করার মত দারুন একটা জায়গা,
প্রিয় ভাইয়া আপুরা, কিছু দিন আগে উই নিয়ে যাদের চুলকানি ছিলো তারা কোথায় আছে এখন জানিনা, তাদের যন্ত্রনা তারা এখন ভোগ করবে,আমরা অন্য কিছু না হোক অন্তত নিজের পরিবারের জন্য উই থেকে পন্য ব্যবহার করতে শিখে গেছি,৬৭হাজারের উই আজ মিলিয়ন হয়ে দেশ দেশান্তরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, ভাবতেই অন্য রকম একটা ফিলিংস আসে মনে,
উদ্দোক্তা ভাইয়া আপুরা,যারা এখানে এক্টিভ আছেন আমি দেখেছি কেউ হতাশ নেই কোন না কোন মাধ্যমে উনাদের সেল হচ্ছেই,যাদের সেল কম হচ্ছে তারাও ধৈর্য ধরে এক্টিভ থাকুন, অবশ্যই আপনার পরিশ্রমের ফল আপনি পাবেন,আজকে দেখেন আমাদের উই কে প্রতিষ্ঠা করতে এবং উইয়ের মাধ্যমে আমাদের দেশের পন্যকে দেশ থেকে বিশ্ব ময় ছড়িয়ে দিতে অমানবিক কষ্ট করছেন শ্রদ্বেয় রাজীব আহমেদ স্যার, প্রেসিডেন্ট নাছিমা আক্তার নিশা আপু ও প্রচুর কষ্ট করছেন শুধুমাত্র আমার আপনার জন্য,
ভবিষ্যতের সুন্দর স্বপ্ন দেখা ভাইয়া আপুদের কাছে আবেদন ,আমরা একটা কথা বিশ্বাস করি,তা হলো রাতের আকাশে একটা চাঁদ আছে, দিনের আলোর জন্য সুর্য আছে,তেমনি আপনি ধরে রাখতে পারেন,দেশি পন্যের ও একটা চাঁদ বা সুর্য হলো উই,এ দেশের উদ্দোক্তাদের জন্য ও উই দাঁড়িয়ে গেছে, পিছনে ফিরে তাকাতে হবেনা আপনাদের,কারন উইয়ে আছে একঝাঁক নিরহংকারী,ঘাড়তেরা দেশপ্রেমিক মানুষ যারা শত বঞ্চনার পরেও দেশীয় পন্য কে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিতে বদ্বপরিকর,
মুলত যে কারনেই আজকের লেখাটা,আমার টাইম লাইনে আজ সবার প্রোফাইল পিক গুলো ভাসছে ,সব গুলো উইয়ের ভাইয়া আপু,সবার সাথে সাথে যখন নিজের প্রিয়তমার প্রোফাইল ও উইয়ের ফ্রেমে দেখছি, বিশ্বাস করেন কিনা জানিনা, চোখে পানি চলে এসেছে, বুঝতে পারছি আমরা সঠিক পথেই আছি,,
প্লিজ আমাদের এখন প্রয়োজন একতাবদ্ধ হওয়া,সহযোগিতার মাধ্যমে একে অপরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, আমাদের মধ্যে দ্বিধা দ্বন্দ্ব মোটেও কাম্য নয়,স্যার প্রতিটা পোস্টে সবাইকে সতর্ক করেছেন, তারপরও আমাদের কিছু মানুষ শুধু ধাক্কাধাক্কিতে ব্যস্ত,প্লিজ এগুলো বন্ধ করে নিজেদের কে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলুন,
কারন জানেন তো,উইয়ের একটা স্লোগান আছে
“একমতে একপথে উই চলে একসাথে”, সবাই ভালো থাকুন,
ছবির মানুষ টা আমার উইয়ের সহযোগী,ঘর সামলানোর দ্বায়ীত্বে আছেন, সিরাজুম মুনিরা আপুর আবায়ার মডেল উনি