Categories
Customer Reviews

সৈয়দা তামান্না – বোরখা

রিভিউ পোস্ট

একজন সেলারের সততা

যার উদ্যোগ দেখে আমি উদ্যোগ নেয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হই।মনে সাহস আসে এবং যার মাধমে উইয়ের খোঁজ পাই তার প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ কখনো ই হবে না। বলছি আমাদের আবায়া স্টোরির সত্তাধিকারী Sirajum Munira আপুর কথা।

আপুকে দু তিন মাস আগে আবায়ার দাম জিজ্ঞেস করেছিলাম। এবং তখন আসলে কিনি নি। তবে কেনার ইচ্ছে ছিল।  তার পর অপেক্ষা করছিলাম কিভাবে একটা আবায়া আপুর উদ্যোগ থেকে নেয়া যায়। শেষ পর্যন্ত কোরবানি ঈদের শপিং এর লিস্টে আপুর আবায়া ও লিস্ট করলাম। কথায় আছে কাক চোখ বন্দ করে রেখে ভাবে সে কাউকে দেখেনা যখন তাহলে অন্য কেউ ও কাক কে দেখেনা। ঠিক সেই রকম অবস্থা আমার ও ছিল। আপুকে আমি বোরখার মাপ কাপড় সব বুঝিয়ে দিয়ে ৩/৪ দিন পর নক দিয়ে জানালাম আমার তো ডিজাইন এটা হতে বে না ওটা হবে।

বোরখা

 মানে আমি ভেবেছি আমি যে কাটে বোরখা পড়ি সবাই বুঝি সে কাটে ই পরে।  কিন্তু বোকার মতো আপু কে উল্লেখ করে না দিয়ে আপুকে বিপদে ফেলে দিলাম৷ আপুর অন্য কাস্টমার এর বোরখার ছবি দেখে আপুকে নক দিয়ে জানালাম আমার বোরখার কাট চেইঞ্জ হবে। খারাপ লেগেছিল কিন্তু আমি রুমাল কাট পরে অভ্যস্থ না আমি আম্ব্রেলা কাট পরে অভ্যস্থ। কিন্তু আমার ভুল বুঝাবুঝির জন্যে আপুর কস্ট টা বেশী হয়ে যায়। দুঃখিত আপু । তারপর আপুকে আবার খুব পছন্দের একটা ডিজাইন দিয়ে বানাতে দেই। আপুও বানাই আনেন। কিন্তু দর্জি ভুলে কোমড়ে ফিতা না দিয়ে গলায় ফিতা দিয়ে দেয়।

কিন্তু আমার কোমড়ের ফিতা টা ও জরুরি ছিল ওটা না বাধলে কেমন জানি লাগে। আপু আবারো নতুন করে ফিতা বানাই আনলো। এই ফিতা বানানো নিয়ে ও বহুত কাহিনি হইছে, আল্লাহ জানে আপু আমাকে মনে মনে বকা দিছে কিনা ।

এবার আপুর সততার কথা বলি। আমি যে কাপড় টা সিলেক্ট করেছি সে কাপড় টা এক টু ভারী।আমি প্রথমে নিচের দিকে কুচি দিয়ে সেলাই করতে বলেছিলাম। আপু নিজে আমাকে ফোন দিয়ে জানালেন যে এটা এক্টু ভারী কাপড় নিচে কুচি দিলে আরো ভারী লাগতে পারে, তখনও আমি আপুকে নিষেধ করলাম নিচে কুচি না দিতে। কারন আমি একা একা ট্র‍্যাভেল করি। আমার সমস্যা হয়ে যাবে তাহলে। এতে করে আপুর প্রায় ৩০০/- কম প্রাইজ আসে। আপু নিজে ই কমিয়ে দেন।

আপু চাইলে আমাকে না বলে বানাই দিতে পারতেন কিন্তু আপু আমাকে সঠিক কেয়ার টা ই দিয়েছেন। আমি মুগ্ধ আপুর এই সততায় এবং ধৈর্য্য দেখে। আমি আপুকে এতো কস্ট দিয়েছি এতো বিরক্ত করেছি তারপর ও আপু হাসিমুখে আমার সাথে কথা বলেছেন। সময় মতো পাঠিয়ে দিয়েছেন। ধন্যবাদ টা কম হয়ে যাবে আপুর জন্য।

ভালবাসা অবিরাম।

বোরখা

আমার ছবি তুলে দেয়ার কেউ নাই বাসায়। হাজবেন্ড সন্ধ্যার পর আসে বাসায় আর তখন ছবি ভাল আসে না। এভাবে করে করে আর ছবি তোলা হয় নি। আজকে চট্টগ্রাম আসার সময় বোরখা টা পরেছি এবং খুব কম্ফোর্ট ফিল হয়েছে। কাপড় টা সত্যি ই ভারী যদি নিচে কুচি দিতাম তাহলে আমার জন্য খুব কস্টের হতো সামলাতে। অনেক অনেক দোয়া আপনার জন্য৷ আমার প্রথম বিমান ভ্রমন আপনার দেয়া বোরখা পরে ই হলো আলহামদুলিল্লাহ। 

অনেক অনেক দোয়া ও ভালবাসা আপনার জন্য আবায়া স্টোরির জন্য। আর আমি আরেকটা বোরখা নিবো সামনে ইনশাল্লাহ।

আপনার ছোয়া পেয়ে আমি মুগ্ধ এবং ছোট্ট গিফট ও চিরকুট  টার জন্য ও ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *