প্রিয় Sirajum Munira অাপু,
মোটামুটি নিজের কাছে হেরে গিয়ে জীবনের হাল ছেড়ে দিয়ে যখন ধরেই নিয়েছিলাম মেয়ে হিসেবে, বউ হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে, সর্বোপরি একজন মা হিসেবে অামি পরাজিত। ঠিক তখন অাপনার একটা পোস্ট অামাকে সাহস যুগিয়েছিলো উইয়ে একটিভ হতে।
কি বলবো অাপু! উইয়ে এসে গত তিনমাসে অামার জীবনবোধ পাল্টে গেছে। অামি অনেক সাহসী এখন, অনেক অাত্মবিশ্বাসী। অামি জানি সবকিছু না হোক, অারো অনেক কিছু করা বাকি অামার।
এই অাবায়া নিয়ে অামি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। ছবির থেকে অনেক বেশি সুন্দর। অনেক বেশি। অামি খালি ভাবছি, অামাকে না দেখেও এতো পারফেক্ট সাইজে কিভাবে বানালেন! জীবনে প্রথম কোন অাবায়া অামার গায়ে এতো পারফেক্ট ভাবে হলো।
কাপড়টাও এতো সফট, অাবায়ার কাপড় নিয়ে অামার ধারণা শূন্যের ঘরে। শুধু বুঝি অারামদায়ক হতে হবে। এই কাপড়টা পরে ঘুমানোও যাবে অারামসে এতো সুন্দর।
অার চিরকুটটা, এই ছোট্ট চিরকুট টা অামাকে অনেকদিন মন খারাপ হতে দেবেনা। ড্রেসিং টেবিলের অায়নায় লাগিয়ে রেখেছি, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই যেন চোখে পড়ে।
অনেক অনেক অনেক ভালোবাসা অাপু, কৃতজ্ঞতা জানবেন।
দোয়া করি, অাল্লাহ যেন অাপনার সব স্বপ্ন সত্যি করে দেন।
মেয়ের বাবা বলতেসে,”কত লাখ লাখ টাকার শপিং করি, কেউ চিরকুট দিবে দূরের কথা, একটা ধন্যবাদও দেয় না।”
অামি বললাম,”হ্যাঁ হ্যাঁ, এজন্যই অামাদের উই সবার সেরা।”