Categories
Abaya story

The Evolution of Abaya

#আবায়ার_বিবর্তন ২

অনেকেই বাধ্য হয়ে নয়
ভালোবেসেই আবায়া পরে থাকেন

একদিকে ২০১৮ সালে সৌদি আরবে ঘরের বাইরে আবায়া পরার বাধ্যতামূলক আইন তুলে নিয়ে নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা দেয়া হচ্ছে অপরদিকে আইন তুলে নেবার পরেও একদল নারী নিজেদের আবায়ার প্রতি ভালোবাসা থেকেই আবায়াকে সাথে রাখতে চাচ্ছেন।

সৌদিতে জন্ম গ্রহণ করা নুর আল তামিমি, যার নিজের উদ্দোগ নাম The Nou Project যেটা দুবাইয়ের খুব জনপ্রিয়, মনে করেন ” আবায়া আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ, ইন্ডিয়াতে যেভাবে শাড়ি পরা হয় আমরা সেভাবে আবায়া পরি। ” তাই তিনি দুবাইতে আবায়া না পরলেও সৌদিতে সব সময় আবায়া পরেই চলাচল করেন সাচ্ছন্দ্য নিয়ে।

আবায়া এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্য এর অংশ অনেকের কাছে। সৌদির ফ্যাশন ডিজাইনার আরওয়া আল বানাউই এর মতে, ” জাপানের কিমোনো যেমন তাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ, আবায়া আমার কাছে ঠিক তেমন “

“আবায়াকে নতুন রুপে আধুনিক যুগে উপস্থাপন করা একটা চ্যালেঞ্জ সব সময় তাই আমি যখন আবায়া ডিজাইন করি এর প্রধান বৈশিষ্ট্য থাকে সহজে পরার মতো যে কোন যায়গায় উপস্থাপন করার মতো ও আধুনিক সব কিছুর সাথে মানানসই, ” বলন আরওয়া।

যখন দুইজন ডিজাইনার তাদের আবায়ার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে এই কথা গুলো বলছিলেন সাথে সৌদি আইনের প্রতি সন্মান রেখেই তারা জানালেন এটাই হওয়া উচিত। কাউকে যোর করে কিছু চাপিয়ে দেয়ার চেয়ে তাদের নিজেদের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেয়া উচিত।

সব চেয়ে মজার ব্যাপার তাদের মতে মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোর চেয়ে ওয়েস্টার্ন দেশ গুলোতে ডিজাইনার আবায়ার চাহিদা অনেক। অনেকেই নিজেদের এই সব পোশাকে সাজাতে পছন্দ করেন কেননা এই সব পোশাক এর মুল হচ্ছে নিজেকে সম্পুর্ন ভাবে আবৃত রাখা।

আবায়ার এই জনপ্রিয়তার অনেক গুলো কারন অনুসন্ধান করার সাথে সাথে তারা মনে করেন আবায়া কখনো বিলুপ্ত হবেনা এই আইনের ফলে কেননা এই আধুনিক যুগে মুসলিম নারীরা নিজেদের ব্যাক্তিত্ব প্রকাশের স্বাধীনতা পাচ্ছেন আর আবায়া এখন আর একটি পোশাকে সীমাবদ্ধ নেই প্রতিনিয়ত তা নতুন রুপে নানা সৃজনশীলতার মাধ্যমে হয়ে উঠছে আভিজাত্যের প্রতীক।

ধন্যবাদ সবাইকে। আবায়ার বিবর্তন এর তৃতীয় ও শেষ ভাগ আগামীকাল লেখা হবে ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *