Categories
Abaya

হিজাব নিয়ে ভাবনা!

আমি ক্লাস এইট থেকে অফিশিয়ালি আবায়া শুরু করি তার আগে আমি একদম ছোট্ট বেলা থেকে মানে একদম পিচ্ছি বেলা থেকেই মাথায় একটা হিজাব পড়তাম।

বাচ্চারা মাদ্রাসায় পড়তে যেতে যেভাবে পরে সেভাবে। আর কোন মতেই সেই হিজাব মাথা থেকে ফেলতাম না! না মানেই না। এটা আমার নিজের একটা অংশ মনে হত। এত খেলা করতাম দৌড় ঝাপ করতাম মাঠে মাঠে থাকতাম তাও এই হিজাব অর স্কার্ফ এর নরচর হত না!

আব্বু ইমাম হওয়ার ফলে বাসায় ধর্মীয় একটা আবহ সব সময় দেখার ফলে আমার কখনো মনে হয়নি এটা আমার উপর চাপিয়ে দেয়া! বরং আমি অপেক্ষা করতাম কবে বড় হয়ে আপুদের মত বোরখা পরব

ক্লাস সিক্স এ ওঠার পরে আমি ক্রস বেল্ট এর সাথে ইয়া বড় এক ওড়না ঝুলিয়ে স্কুলে যেতাম আর বড় আপুরা মানে ৮/৯/১০ এর আপুরা আমাকে ক্লাস এ ডেকে নিয়ে খুব হাশা হাশি করত আবার অনেকের কাছে কিউট লাগত তাই ডেকে নাম ধাম জিজ্ঞেস করত আর আমিও খুব ভাব নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতাম। আমার নিজের দুই আপুও সেই একি স্কুলে পড়ত কিন্তু ওরা আমাকে পাত্তাই দিতনা অই সময় আমি দুর থেকে ওদের আড্ডা দেখতাম টিফিন টাইমে আর ভাবতাম বড় হলে আমিও তোমাদের সাথে ভাব নিব হুহ ।

নেয়া হয়নি আসলে কারন আমি বড় হয়ে এখন ওদের সাথেই আড্ডা দেই ।

১০ এ উঠে নিকাব শুরু করলাম আর আস্তে আস্তে নিকাবি হয়ে গেলাম তার পর অনার্স এর সময় বা তার আগেই আপুরা সব নিজেরা কাপড় কিনে বোরকা বা আবায়া বানিয়ে দিত।

ঈদের সময় বান্ধবীর বাসায় বোরকা পরে যেতাম আর তারা আমাকে বলত “এত সুন্দর ড্রেস পরে কি লাভ বলত তুইতো বোরখা পরেই থাকিশ! ” অনেক প্রস্তাব দিত বাইরে বেড়াতে যাওয়ার সময় খুলে যাবি কিন্তু আমি এদিক দিয়ে একদম সায় দিতাম না। কারন এটাই আমার আসল পরিধান মনে হত এখনো তাই হয়।

এর পরে অনার্স লাইফের আগেই নিজেরাই নিজেদের আবায়া ডিজাইন করে বানানো শুরু করলাম তাতে অনেকের অনেক কথা শুনেছি আর এখন সেই মানুষ জন আমাকে তাদের জন্য কিছু কিনে বা বানিয়ে দিতে বলে অথবা ফেসবুক এ ছবি দেখেই আমাকে ফোন দিয়ে বলে এটা বানিয়ে দিতে ।

অনার্স লাইফে এত এত বোরখা পরেছি আর এখনো পরি সবাই একটা কথাই বলে তুমি এত এত বানাও না কিন! আমি বানাই নিজেই বানাই অন্যকে শখ করে বানিয়ে দেই গিফট দেই অনেক আগে থেকেই। এখনো দুইজন কাজিন এর আবদার আছে মিস্টি কালার এর আবায়ার জন্য। যা লাস্ট মিটাপে পরেছিলাম।

অনার্স এর ভাইভা তে একজন সহপাঠী বলেছিল তুই এক কাজ কর ভাইভার দিন এভাবে আসিস না। ইংরেজিতে অনার্স করা মেয়েদের এমন পোশাক মানায় না। কিন্তু আমি এই পোশাকেই ভাইভা দিয়ে সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ ।

এত এত ইতিহাস লেখার একটাই কারন আজকে ভাইয়া আমাকে বলেছিলেন কাকলী

Kakoly Russell Talokder

আপুর সব পোস্ট পড়তে। আর আপুর পোস্ট পড়তে পড়তে আমার মনে হল আপু যেভাবে তার জামদানী নিয়ে ক্রেজি আমিও এই হিজাব আর বোরকা নিয়ে কম কাঠ খর পোরাইনি।।এমন পাগলামির অনেক অনেক গল্প আছে এই হিজাব নিয়ে। পরে সময় করে লিখব ইনশাআল্লাহ।

Razib Ahmed

ভাইয়া এত এত পোস্ট পরে এগুলো সব মনে পড়ে গেল কিন্তু লিখতে পারছিলাম না মেয়ের জন্য। কয়েকদিন ধরে কিছু লিখতে পারছিনা হাতেই আসছেনা কিছু। তবুও হাল ছাড়ব না। ব্যবসা না করি কিন্তু নিজের গল্প তো সবাইকে বলাই যায় নাকি ।

** আমার ভাবনার সাথে কেউ কেউ এক মত নাও হতে পারেন। তাই প্লিজ কস্ট পাবেন না। আমি সবার নিজস্ব মতামত কে স্রদ্ধা করি। সবাই দোয়া করবেন এভাবেই যেন বাকি জীবন পার করতে পারি । ছবি সবচেয়ে সিম্পল কিন্তু পছন্দের রং।

Categories
Abaya

খিমার ও জিলবাব

খিমার ও জিলবাব কি?

খিমার ও জিলবাব এর পার্থক্য কি?

জিলবাব একদম লং হয় না সর্ট?

জিলবাব ভালো না খিমার?

সাধারণত বোরখার ইকটু সাজানো রুপ হচ্ছে জিলবাব বা খিমার। যার সাথে নিকাব এড করা থাকে। ফিতার সাহায্যে নিকাব করে ফেলা যায়। আলাদা ভাবে হিজাব করার প্রয়োজন হয়না৷

খিমার

খিমার ও জিলবাব এর পার্থক্য হচ্ছে এর কাট বা সেলাই এ। খিমার এর দুই সাইডে কোন সেলাই হয়না। শুধু মাঝে একটা সেলাই থাকে তাই কাপড় টায় অনেক ঘের থাকে। কিন্তু অনেক বেশি লং হয়না।

একদম পা পর্যন্ত করতে হলে বিশাল জোড়া দিতে হয় পিছনে। আর খিমার এর কাট সামনে ইকটু ছোট ও পিছনে বড় হয়৷

জিলবাব

জিলবাব এর সেলাই থাকে বোরখার মতো৷ দুই পাশে দুই হাতের নিচ থেকে। একটা চার কোনা কাট এর বোরখা যার বডি শেপ নেই অনেক ঢিলেঢালা করে বানানো। এর সাথে নিকাব ও কুচি হাতা সেট করা থাকে।

এটা চাইলেই একদম পা পর্যন্ত লং করা যায় আবার খিমার এর মতো লং করেও বানানো যায়। তবে এটার সামনে পিছনে সমান বা ছোট বড় করতে আলাদা জোড়া দিতে হয়না।

খিমার বা জিলবাব বোরখার মতোই পরতে খুবই আরামদায়ক। ম্যাটেরিয়াল চেরি জর্জেট ব্যবহার করার ফলে গরম লাগেনা আবার ভেতরের কাপড় ও দেখা যায়না৷

জিলবাব বা খিমার যেটাই পরা হোক না কেন দুটোই ভীষণ স্মার্ট। খিমার সব বয়সীরা নিলেও জিলবাব আমি মায়েদের জন্য বেশি বানিয়েছি কারন তারা আলাদা স্কার্ট পরতে চান না। একটা লং নিকাব এটাচ জিলবাব তাদের জন্য সুবিধাজনক ও বেস্ট কম্বিনেশন হয়।

জিলবাব ও খিমার নিয়ে আপনাদের জন্য ছোট্ট আলোচনা ছিল। এর বাইরে কোন প্রশ্ন থাকলেও করতে পারেন। আমি সাহায্য করার চেস্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

Categories
Abaya

খিমার সেট

খিমার কি?

কিভাবে পরে?

খিমার একদম লং হয় না সর্ট?

সাথে কি থাকে স্কার্ট না পালাজ্জো?

ম্যাটেরিয়াল কি গরমে আরামদায়ক কিনা?

আবায়া স্টোরির প্রথম খিমার এর ক্রেতা

Hafsa Siddiky

এর পরে আমাদের পেজ এর সব খিমার এর প্রতি সবার আলাদা আকর্ষণ। ও সবাই সব চেয়ে বেশি এই ছবি গুলো দিয়েই আমাকে এই প্রশ্ন গুলো জিজ্ঞেস করেন। তাই ভাবলাম সবাইকে আলোকিত করতে একটা পোস্ট দেয়া যায়।

খিমার সেট

সাধারণত খিমার বলতে নিকাব ও হাতা এটাচ করা একটা বোরখাকেই বোঝানো হয়। যারা আলাদা ভাবে হিজাব ও স্কার্ফ পরতে চান না তাদের জন্য সব চেয়ে আরামদায়ক ও সুবিধার হচ্ছে খিমার।

নিকাব এটাচ থাকার ফলে শুধু উপর দিয়ে মাথার উপরে পরে ফেলে হাতা দুটো ঢুকিয়ে ঝটপট রেডি হয়ে যাওয়া যায়।

খিমার লং হয় হাইট অনুযায়ী ৪৬/৪৮/৫০/৫২ মাথা থেকে। এটা থাকে হাটু বা তার ইকটু নিচে। কারন সাথে স্কার্ট বা পালাজ্জো থাকার ফলে সেট আকারে দেখতে খুবই সুন্দর ও স্মার্ট লাগে।

খিমার সেট

প্রতিটি খিমার চেরি জর্জেট দিয়ে করা। যা গরমে খুবই আরামদায়ক একদম হালকা একটা কাপড় কিন্তু ভেতরে দেখা যাবেনা কি পরে আছে। তাই আমার প্রথম পছন্দ এই ম্যাটেরিয়াল।

**এখানে শুধু দুটো খিমার এর ছবি আছে কালো ও পেয়াজ কালার। যা হাফসার পরনে সেটা একটাই পেয়াজ ও মিস্টি কালার মনে হচ্ছে ছবির জন্য বা আলোর তারতম্য এর জন্য।

খিমার ও খিমার সেট নিয়ে আর কোন প্রশ্ন কি আছে আপনার কাছে? জানাতে পারেন নির্দিধায় আমি সাহায্য করবো তথ্য দেয়ার।

Categories
Abaya

ট্যুর আবায়া

অফিস / স্কুল /পার্টি বা ট্যুর এর আবায়া ভিন্ন হয় কেন?

পরিবেশ অনুযায়ী আবায়া বাছাই করা উচিত কেন?

আমরা যখন কোন পোশাক পরি তার আগে আমরা সব সময় ইকটু হলেও সময় নিয়ে ভাবি যে কোথায় আমরা কোন পোশাক বা রং টা পরছি।।

আমরা যারা বোরখা হিজাব করি তারাও কিন্তু এই ভাবনা টা আরো বেশি করে ভাবি। অনেকেই মনে করেন যারা বোরখা পরে তাদের হয়তো একটাই বোরখা বা আলাদা ওকেশন অনুযায়ী তাদের পোশাক নেই!

ট্যুর আবায়া

একদম ভুল ধারনা। আমরাও অন্য সবার মতো প্রতিটি ওকেশন অনুযায়ী আলাদা বোরখা বা আবায়া কিনে থাকি আবার আমরা সমান ভাবেই জাকজমক পোশাক ও কিনে থাকি।

ট্যুর আবায়া

এই মজার তথ্য গুলো দুবাইয়ের রিসার্চে এসেছে যে যারা আবায়া পরে তারাও প্রতি মাসে অনেক বড় এমাউন্ট টাকা ব্যায় করেন নিজের সাজসজ্জা ও পোশাক এর জন্য৷ যেখানে দেখা যায় তাদের পোশাক আবায়াতে আবৃত থাকলেও তারা সব সময় নিজেদের ফ্যাশন সচেতন রাখেন।

ট্যুর আবায়া

এখানে কোন ধরনের শো অফ এর জন্য না আমরা নিজেদের কাছে ভালো লাগার জন্যেই এই কাজ টা করি। আমাদের স্কুলে পড়াতে যাবার, বাইরে ঘুরতে যাবার, যে কোন পার্টিতে সবার মধ্যমনি হবার বা যে কোন লং ট্যুরে যাবার জন্য আলাদা ভাবে ডিজাইন ও কাপড় এর আরামদায়কতা অনুযায়ী বানানো আছে।

ট্যুর আবায়া

এখানে ৫ টি বোরখার ছবি দেখতে পাচ্ছেন প্রতিটি আলাদা ভাবে ডিজাইন করা আলাদা ভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করার জন্য। আবায়া গুলো সব সময় নিজের ব্যাক্তিত্ব প্রকাশের মাধ্যম।

যে কোন পোশাকের মতোই আবায়া বা বোরখার খেত্রেও তাই মানানসই ওড়না বা হিজাব টা গুরুত্বপূর্ণ। রং ও কাপড় নির্বাচন এর খেত্রে ইকটু সতর্ক থাকলেই যে কোন সাধারণ আবায়া বা বোরখার মাঝেই আপনি আলাদা ভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারবেন।

আমার কাছে তাই মডেস্টির সাথে স্মার্ট ও এলিগেন্ট থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। আমার আবায়া স্টোরির ট্যাগ লাইন ও এটাই ।

আবায়া নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকলে জানাতে পারেন। আমি পরবর্তী পোস্ট এ সব উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

Categories
Abaya

পকেট স্লিভ আবায়া

আজকে নতুন আবায়া নিয়ে জানবো আমরা

*** এই আবায়া বা কাভার আপস কে পকেট স্লিভস আবায়া কেন বলা হয়?? একটা মজার কারন আছে এই জন্য।

সাধারণত যেই যায়গায় পকেট থাকার কথা সেই যায়গায় এই আবায়ার হাতা বা স্লিভস এর যায়গা থাকে। তাই এই আবায়ার এই নাম।

পকেট স্লিভ আবায়া

***পুরো আবায়ার জন্য কতো গজ কাপড় লাগে??

এই আবায়ার জন্য মিনিমাম ৪.৫ গজ সর্বোচ্চ ৭.৫ গজ পর্যন্ত কাপড় লাগে। ছবির আবায়াতে ৪.৫ গ.৫ গজ কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে।

*** এই আবায়ার সেলাই কোথায় হয়??

এই আবায়ার চারিদিকে কোন কাটা নেই। শুধু সামনে একটা কাটা বা ফাড়া আর এটাই এক মাত্র সেলাই। ভিডিও দেখলে বুঝতে পারবেন চারিদিকে বিশাল ঘের দেয়া হলেও সেলাইটা সামনে শুধু যা পাইপেন দিয়ে সুন্দর করে বানানো হয়েছে।

পকেট স্লিভ আবায়া

*** এই আবায়ার গলার দিক টা কেমন??

ব্যান কলার ও খুব স্মার্ট ভাবে পাইপেন দেয়া। সাথে ১২ টা বোতাম এর জন্য পরলে নিজের কাছেই রাজকীয় মনে হয়।

*** এখানে কি ম্যাটেরিয়াল ব্যাবহার করা হয়েচজে

অসম্ভব স্মার্ট পকেট স্লিভ আবায়ার ম্যাটেরিয়াল সফট জর্জেট যা সেমি ট্রানসপারেন্ট। তাই ইনার পরতে হবে। আমি সাথে চেরি জর্জেট এর গাউন ইনার পরেছি৷ হাতার কাছে কুচি থাকার ফলে হাতা টা উঠে যায় না৷

তাহল বলুন তো আজকে নতুন কিছু শিখলেন কিনা?? আজকে ক্লাস নেয়ার মতো লিখেছি ।

অসম্ভব প্রিয় প্রিন্ট এ কাজ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

Categories
Abaya

শীতকালীন স্মার্ট আবায়া

কামিজ স্কার্ট বা টু পার্ট আবায়া সেট

চলে আসছে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া আর এই ঠান্ডা আবহাওয়া তে আমরা যারা আবায়া পরি তাদের ইকটু বিপাকেক পরতে হয় কিছু কারনে।

সহজে আবায়ার নিচে সোয়েটার বা গরম কিছু পরা যায়না কারন পরে বাইরে বের হলে ওয়েদার গরম হলে খোলার উপায় থাকেনা। আবার আবায়ার উপরেও শাল জড়িয়ে নিলে একটা সহজ সমাধান করা সম্ভব।

এই দুই পার্ট এডযাস্ট করা কামিজ স্টাইল আবায়াটা ছিল আবায়া স্টোরির প্রথম কাজ আলহামদুলিল্লাহ।

শীতকালীন স্মার্ট আবায়া

আর করেছিলাম আমাদের Sonya Parvin আপুর জন্য।

আজ হঠাৎ করেই মনে হলো এই আবায়ার কথা।

শীতকালে আমাদের জন্য দুই পার্ট এর আবায়া গুলো সব চেয়ে উপোযোগী৷ দুই পার্ট হবার ফলে ঠান্ডাও কম লাগে আবার এই ডিজাইন টাই স্কার্ট ও শার্ট আলাদা ভাবে বানালেই হয়ে যাবে গ্রীষ্মের আবায়া।

দারুন না বিষয় টা??

Categories
Abaya

তুর্কিশ কোট কাটিং আবায়া

আবায়া পরবো না কোট??

আমরা প্রায়ই বাইরে যাবার সময় ভাবি ইশ বোরখা টা আর ইকটু স্মার্ট হতো আজকের দিনের সারাদিন কাজের বা প্রেজেন্টেশন এর জন্য একটা দারুন লুক দরকার ছিল৷

এই আবায়া বানানোর পিছনের গল্পটা যদিও ভিন্ন। বান্ধবীর আবদার সে একটা তুর্কিশ সিরিয়াল এর নায়িকাদের ওভারকোট গুলো দেখে বলেছে তাকে এমন একটা আবায়া বানিয়ে দিতে হবে।

কালার কম্বিনেশন ডিজাইন সব কিছুই সে আমার উপরে ছেড়েদিয়েছিল আর আমিও তাকে জননী জন্মভূমি সিরিয়াল এর হাতিজে নায়িকার ওভারকোট এর ডিজাইনের মতো করে বানিয়ে দিয়েছি এই তিন পার্ট এর আবায়া।

কাফ হাতার সাথে বোতাম

চেরি জর্জেট এর আবায়ার ভেতরে দেয়া কালো আর চারিদিকে মেরুন রঙ যেই কম্বিনেশন টা অসম্ভব সুন্দর সব সময় আমার কাছে  কাফ হাতার সাথে বোতাম অজু করতে সুবিধার জন্য।

আলহামদুলিল্লাহ হাতে পাওয়ার পরে প্রেমে পরেছি নিজেই।

Categories
Abaya Abaya story

Why abaya was black?

আবায়া কালোই কেন ছিল?

আবায়া নিয়ে পড়তে যেয়ে একটা মজার বিষয় পেলাম। আবায়ার প্রচলন শুরু হবার পরে আরব নারীরা কালো বোরখাই কেন পরতেন?

তাদের হাতের কাছে থাকা সহজ লভ্য জিনিস দিয়ে তারা আবায়া বানাতেন আর তখন খুব সহজ লভ্য ছিল ছাগল বা বকরীর চামরা! আর তা দিয়েই তারা আবায়া বানাতেন!

চিন্তা করলেও অবাক লাগে মরুভূমির বুকে তপ্ত গরমের মাঝে নিজেদের আবৃত রাখতে তারা ছাগলের চামড়ার মতো মোটা কিছু গায় জরাতে দিধা করেনি!

আরেক যায়গায় আছে যে এক লোকের প্রথম আবায়ার দোকান ছিল বাজারে আর সে সব কালো আবায়া রাখতেন সেখান থেকেই এই প্রচলন!

তবে গরমের সাথে কালো রং টার খুব রেশারেশির কারনে এখন কালোর যায়গায় অনেক ধরনের আবায়া আস্তে আস্তে সবার মাঝ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তবে কালোর আবেদন কখনোই কমে যায়নি৷