Categories
Abaya story

The Evolution of Abaya

#আবায়ার_বিবর্তন ৩

আবর বিশ্বের ফ্যাশন বিশারদ, রিম ইল মুতাওয়ালি, যিনি পি এইচ ডি করেছেন আরব সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস নিয়ে, তিনি তার লেখা অনেক গুলো বইতে আবায়ার বিবর্তন কে বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে বিভিন্ন যুগে বিবর্তন এর ইতিহাস অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।

তেল আবিষ্কার হবার আগে আবায়া ঃ

তেল আবিষ্কার এর পুর্বে আবায়া ছিল খুবই ব্যায়বহুল ও উচ্চবিত্তদের আভিজাত্যের অংশ। তাদের আবায়া ছিল কাফতান এর মতো চারকোনা একটি আকৃতির কাপড় যার গলার দিকে সোনালী রং এর অসাধারণ কারুকার্য থাকতো৷ এই আবায়া শুরু মাত্র ব্যবসায়ী ও শেখ দের স্ত্রীরাই পরতেন।

সাধারণ মেয়েরা বিশাল কালো রং এর হিজাব বা ওড়না জড়িয়ে নিতেন শরীরের অর্ধেক টুকু ঢেকে রেখে তাকেই আবায়া হিসেবে ব্যবহার করতেন।

১৯৭০ দশকের আবায়া ঃ

এই সময়ে আবায়া জনপ্রিয়তা পেল বিভিন্ন সিল্ক এর মাধ্যমে যা অনেক টা ভারি ছিল আগের আবায়া গুলোর মতো সচ্ছ না। বিভিন্ন ধরনের আচার অনুষ্ঠান এ আবায়া পরে যাবার প্রচলন শুরু হলো। তখন আবায়া হতো মাথার উপরে থেকে কোমড় এর নিচ পর্যন্ত। কুচি দিয়ে কোমড়ে ও হাতার মাঝে একটা সামনজস্য রাখা হতো৷ আর আবায়া ছোট হবার ফলে আবায়ার নিচে পরা কাপড় দেখানো হতো।

১৯৮০ দশকের আবায়া ঃ

এখন আমরা আবায়া বলতে যা বুঝি এই সময়ে তা আসলে প্রথম প্রকাশ পায়। কাধ থেকে পা পর্যন্ত একদম সারা শরীর আবৃত রাখার মতো ডিজাইন তখন সৌদি আরবে প্রচলিত হয় আর সাথে আবায়ার সাথে মিলিয়ে চিকন একটা হিজাব মাথা ঢাকার জন্য৷ তখন কালো রং এর সব ধরনের কাপড় এর আবায়ার প্রচলন ও ডিজাইন দেখা যায়৷ সচ্ছ ভারি সব ধরনের কাপড়ের মাঝে নানা ধরনের ডিজাইন এর বাহারি আবায়া।

১৯৯০ দশকের আবায়া ঃ

আবায়ার পুর্ববর্তী ডিজাইন চলমান থাকে এই সময়েও আর সাথে সাথে নানা ধরনের এমব্রয়ডারি ও জমকালো লেস এর ব্যবহার শুরু হয়। আবায়াতে জাকজমক ভাব নিয়ে আসা হয় নানা ধরনের ডিজাইন এর মাধ্যমে। আবায়ার সাথে হিজাব কে এক সেট আকারে তুলে ধরনের হয় ওমানের লোকদের পরা টিউনিখ এর মতো। ইসলামি পোশাক হিসেবে আবায়া সবার কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায় কেননা এক কাপড়ে সুন্দর ভাবে নিজেকে আবৃত রাখা যায়।

২০০০-২০১০ দশকের আবায়া ঃ

আবায়ার কাট ও ডিজাইন নিয়ে অহেতুক পরীক্ষা চলানো শেখ হয় ফলাফল আবায়া পায় কিছু কিম্ভূতকিমাকার ডিজাইন। প্রজাপতি, ব্যাট অথবা যে কোন পাখা ওয়ালা আকৃতি যার অনেক গুলো পার্ট থাকবে এমন ডিজাইন সব দিকে ছড়িয়ে পরে। কোমড়ের দিকে মোটা অথবা চিকন বেল্ট হিসেবে ডিজাইন যোগ হয় আবার কিছু কিছু আবায়ার সাথে হুডি জুড়ে দেয়া হয় প্রাচ্যের ডিজাইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে।


২০১০ – বর্তমান কালের আবায়া ঃ

বিভিন্ন রং ও ধরনের আবায়া ও হিজাব নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট শুরু হয় এই যুগে। ব্যক্তিত্ব প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে, সচেতনতা মুলক পোশাকে সাথে সাথে আভিজাত্যপূর্ণ ডিজাইন আবায়ার মাঝে প্রকাশ পাওয়া শুরু করে। আরব দেশের ডিজাইনার গন অনুপ্রেরণা খুজে পান নিজেদের ডিজান গুলো বহির্বিশ্বের ডিজাইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বানাতে।


বিবর্তন এর মাধ্যমের পুর্বের সব ধারনা ও ধরন ভেংগে দিয়ে আবায়া এখন নিজের আলাদা একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে পুরো বিশ্বে। আবায়া এখন শুধু মাত্র নিজেকে আবৃত করার জন্য একটি পোশাক না। নিজেকে ও নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের একটা মাধ্যমের পরিনত হয়েছে। আবায়া পরিধান কারী মেয়ে ও নারীরা এখন নিজের কর্মস্থলে অথবা যে কোন আচার অনুষ্ঠানে নিজেকে আলাদা ভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম এই আবায়ার মাধ্যমে।

হিজাব নিয়ে ভাবনা

হিজাব নিয়ে ভাবনা!

আমি ক্লাস এইট থেকে অফিশিয়ালি আবায়া শুরু করি তার আগে আমি একদম ছোট্ট বেলা থেকে মানে একদম পিচ্ছি বেলা থেকেই মাথায় একটা হিজাব পড়তাম।

বাচ্চারা মাদ্রাসায় পড়তে যেতে যেভাবে পরে সেভাবে। আর কোন মতেই সেই হিজাব মাথা থেকে ফেলতাম না! না মানেই না। এটা আমার নিজের একটা অংশ মনে হত। এত খেলা করতাম দৌড় ঝাপ করতাম মাঠে মাঠে থাকতাম তাও এই হিজাব অর স্কার্ফ এর নরচর হত না!

আব্বু ইমাম হওয়ার ফলে বাসায় ধর্মীয় একটা আবহ সব সময় দেখার ফলে আমার কখনো মনে হয়নি এটা আমার উপর চাপিয়ে দেয়া! বরং আমি অপেক্ষা করতাম কবে বড় হয়ে আপুদের মত বোরখা পরব 😁

ক্লাস সিক্স এ ওঠার পরে আমি ক্রস বেল্ট এর সাথে ইয়া বড় এক ওড়না ঝুলিয়ে স্কুলে যেতাম আর বড় আপুরা মানে ৮/৯/১০ এর আপুরা আমাকে ক্লাস এ ডেকে নিয়ে খুব হাশা হাশি করত আবার অনেকের কাছে কিউট লাগত তাই ডেকে নাম ধাম জিজ্ঞেস করত আর আমিও খুব ভাব নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতাম। আমার নিজের দুই আপুও সেই একি স্কুলে পড়ত কিন্তু ওরা আমাকে পাত্তাই দিতনা অই সময় আমি দুর থেকে ওদের আড্ডা দেখতাম টিফিন টাইমে আর ভাবতাম বড় হলে আমিও তোমাদের সাথে ভাব নিব হুহ 😑😑।
নেয়া হয়নি আসলে কারন আমি বড় হয়ে এখন ওদের সাথেই আড্ডা দেই 😁 😁

১০ এ উঠে নিকাব শুরু করলাম আর আস্তে আস্তে নিকাবি হয়ে গেলাম তার পর অনার্স এর সময় বা তার আগেই আপুরা সব নিজেরা কাপড় কিনে বোরকা বা আবায়া বানিয়ে দিত।

ঈদের সময় বান্ধবীর বাসায় বোরকা পরে যেতাম আর তারা আমাকে বলত “এত সুন্দর ড্রেস পরে কি লাভ বলত তুইতো বোরখা পরেই থাকিশ! ” অনেক প্রস্তাব দিত বাইরে বেড়াতে যাওয়ার সময় খুলে যাবি কিন্তু আমি এদিক দিয়ে একদম সায় দিতাম না। কারন এটাই আমার আসল পরিধান মনে হত এখনো তাই হয়।

এর পরে অনার্স লাইফের আগেই নিজেরাই নিজেদের আবায়া ডিজাইন করে বানানো শুরু করলাম তাতে অনেকের অনেক কথা শুনেছি আর এখন সেই মানুষ জন আমাকে তাদের জন্য কিছু কিনে বা বানিয়ে দিতে বলে অথবা ফেসবুক এ ছবি দেখেই আমাকে ফোন দিয়ে বলে এটা বানিয়ে দিতে 😁😁

অনার্স লাইফে এত এত বোরখা পরেছি আর এখনো পরি সবাই একটা কথাই বলে তুমি এত এত বানাও না কিন! আমি বানাই নিজেই বানাই অন্যকে শখ করে বানিয়ে দেই গিফট দেই অনেক আগে থেকেই। এখনো দুইজন কাজিন এর আবদার আছে মিস্টি কালার এর আবায়ার জন্য। যা লাস্ট মিটাপে পরেছিলাম।

অনার্স এর ভাইভা তে একজন সহপাঠী বলেছিল তুই এক কাজ কর ভাইভার দিন এভাবে আসিস না। ইংরেজিতে অনার্স করা মেয়েদের এমন পোশাক মানায় না। কিন্তু আমি এই পোশাকেই ভাইভা দিয়ে সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ 😍😍

এত এত ইতিহাস লেখার একটাই কারন আজকে ভাইয়া আমাকে বলেছিলেন কাকলী Kakoly Russell Talokder আপুর সব পোস্ট পড়তে। আর আপুর পোস্ট পড়তে পড়তে আমার মনে হল আপু যেভাবে তার জামদানী নিয়ে ক্রেজি আমিও এই হিজাব আর বোরকা নিয়ে কম কাঠ খর পোরাইনি।।এমন পাগলামির অনেক অনেক গল্প আছে এই হিজাব নিয়ে। পরে সময় করে লিখব ইনশাআল্লাহ।

Razib Ahmed ভাইয়া এত এত পোস্ট পরে এগুলো সব মনে পড়ে গেল কিন্তু লিখতে পারছিলাম না মেয়ের জন্য। কয়েকদিন ধরে কিছু লিখতে পারছিনা হাতেই আসছেনা কিছু। তবুও হাল ছাড়ব না। ব্যবসা না করি কিন্তু নিজের গল্প তো সবাইকে বলাই যায় নাকি 😁😁

** আমার ভাবনার সাথে কেউ কেউ এক মত নাও হতে পারেন। তাই প্লিজ কস্ট পাবেন না। আমি সবার নিজস্ব মতামত কে স্রদ্ধা করি। সবাই দোয়া করবেন এভাবেই যেন বাকি জীবন হিজাব নিয়েই পার করতে পারি ইনশাআল্লা।

Categories
Abaya

হিজাব নিয়ে ভাবনা!

আমি ক্লাস এইট থেকে অফিশিয়ালি আবায়া শুরু করি তার আগে আমি একদম ছোট্ট বেলা থেকে মানে একদম পিচ্ছি বেলা থেকেই মাথায় একটা হিজাব পড়তাম।

বাচ্চারা মাদ্রাসায় পড়তে যেতে যেভাবে পরে সেভাবে। আর কোন মতেই সেই হিজাব মাথা থেকে ফেলতাম না! না মানেই না। এটা আমার নিজের একটা অংশ মনে হত। এত খেলা করতাম দৌড় ঝাপ করতাম মাঠে মাঠে থাকতাম তাও এই হিজাব অর স্কার্ফ এর নরচর হত না!

আব্বু ইমাম হওয়ার ফলে বাসায় ধর্মীয় একটা আবহ সব সময় দেখার ফলে আমার কখনো মনে হয়নি এটা আমার উপর চাপিয়ে দেয়া! বরং আমি অপেক্ষা করতাম কবে বড় হয়ে আপুদের মত বোরখা পরব

ক্লাস সিক্স এ ওঠার পরে আমি ক্রস বেল্ট এর সাথে ইয়া বড় এক ওড়না ঝুলিয়ে স্কুলে যেতাম আর বড় আপুরা মানে ৮/৯/১০ এর আপুরা আমাকে ক্লাস এ ডেকে নিয়ে খুব হাশা হাশি করত আবার অনেকের কাছে কিউট লাগত তাই ডেকে নাম ধাম জিজ্ঞেস করত আর আমিও খুব ভাব নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতাম। আমার নিজের দুই আপুও সেই একি স্কুলে পড়ত কিন্তু ওরা আমাকে পাত্তাই দিতনা অই সময় আমি দুর থেকে ওদের আড্ডা দেখতাম টিফিন টাইমে আর ভাবতাম বড় হলে আমিও তোমাদের সাথে ভাব নিব হুহ ।

নেয়া হয়নি আসলে কারন আমি বড় হয়ে এখন ওদের সাথেই আড্ডা দেই ।

১০ এ উঠে নিকাব শুরু করলাম আর আস্তে আস্তে নিকাবি হয়ে গেলাম তার পর অনার্স এর সময় বা তার আগেই আপুরা সব নিজেরা কাপড় কিনে বোরকা বা আবায়া বানিয়ে দিত।

ঈদের সময় বান্ধবীর বাসায় বোরকা পরে যেতাম আর তারা আমাকে বলত “এত সুন্দর ড্রেস পরে কি লাভ বলত তুইতো বোরখা পরেই থাকিশ! ” অনেক প্রস্তাব দিত বাইরে বেড়াতে যাওয়ার সময় খুলে যাবি কিন্তু আমি এদিক দিয়ে একদম সায় দিতাম না। কারন এটাই আমার আসল পরিধান মনে হত এখনো তাই হয়।

এর পরে অনার্স লাইফের আগেই নিজেরাই নিজেদের আবায়া ডিজাইন করে বানানো শুরু করলাম তাতে অনেকের অনেক কথা শুনেছি আর এখন সেই মানুষ জন আমাকে তাদের জন্য কিছু কিনে বা বানিয়ে দিতে বলে অথবা ফেসবুক এ ছবি দেখেই আমাকে ফোন দিয়ে বলে এটা বানিয়ে দিতে ।

অনার্স লাইফে এত এত বোরখা পরেছি আর এখনো পরি সবাই একটা কথাই বলে তুমি এত এত বানাও না কিন! আমি বানাই নিজেই বানাই অন্যকে শখ করে বানিয়ে দেই গিফট দেই অনেক আগে থেকেই। এখনো দুইজন কাজিন এর আবদার আছে মিস্টি কালার এর আবায়ার জন্য। যা লাস্ট মিটাপে পরেছিলাম।

অনার্স এর ভাইভা তে একজন সহপাঠী বলেছিল তুই এক কাজ কর ভাইভার দিন এভাবে আসিস না। ইংরেজিতে অনার্স করা মেয়েদের এমন পোশাক মানায় না। কিন্তু আমি এই পোশাকেই ভাইভা দিয়ে সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ ।

এত এত ইতিহাস লেখার একটাই কারন আজকে ভাইয়া আমাকে বলেছিলেন কাকলী

Kakoly Russell Talokder

আপুর সব পোস্ট পড়তে। আর আপুর পোস্ট পড়তে পড়তে আমার মনে হল আপু যেভাবে তার জামদানী নিয়ে ক্রেজি আমিও এই হিজাব আর বোরকা নিয়ে কম কাঠ খর পোরাইনি।।এমন পাগলামির অনেক অনেক গল্প আছে এই হিজাব নিয়ে। পরে সময় করে লিখব ইনশাআল্লাহ।

Razib Ahmed

ভাইয়া এত এত পোস্ট পরে এগুলো সব মনে পড়ে গেল কিন্তু লিখতে পারছিলাম না মেয়ের জন্য। কয়েকদিন ধরে কিছু লিখতে পারছিনা হাতেই আসছেনা কিছু। তবুও হাল ছাড়ব না। ব্যবসা না করি কিন্তু নিজের গল্প তো সবাইকে বলাই যায় নাকি ।

** আমার ভাবনার সাথে কেউ কেউ এক মত নাও হতে পারেন। তাই প্লিজ কস্ট পাবেন না। আমি সবার নিজস্ব মতামত কে স্রদ্ধা করি। সবাই দোয়া করবেন এভাবেই যেন বাকি জীবন পার করতে পারি । ছবি সবচেয়ে সিম্পল কিন্তু পছন্দের রং।

Categories
Abaya

খিমার ও জিলবাব

খিমার ও জিলবাব কি?

খিমার ও জিলবাব এর পার্থক্য কি?

জিলবাব একদম লং হয় না সর্ট?

জিলবাব ভালো না খিমার?

সাধারণত বোরখার ইকটু সাজানো রুপ হচ্ছে জিলবাব বা খিমার। যার সাথে নিকাব এড করা থাকে। ফিতার সাহায্যে নিকাব করে ফেলা যায়। আলাদা ভাবে হিজাব করার প্রয়োজন হয়না৷

খিমার

খিমার ও জিলবাব এর পার্থক্য হচ্ছে এর কাট বা সেলাই এ। খিমার এর দুই সাইডে কোন সেলাই হয়না। শুধু মাঝে একটা সেলাই থাকে তাই কাপড় টায় অনেক ঘের থাকে। কিন্তু অনেক বেশি লং হয়না।

একদম পা পর্যন্ত করতে হলে বিশাল জোড়া দিতে হয় পিছনে। আর খিমার এর কাট সামনে ইকটু ছোট ও পিছনে বড় হয়৷

জিলবাব

জিলবাব এর সেলাই থাকে বোরখার মতো৷ দুই পাশে দুই হাতের নিচ থেকে। একটা চার কোনা কাট এর বোরখা যার বডি শেপ নেই অনেক ঢিলেঢালা করে বানানো। এর সাথে নিকাব ও কুচি হাতা সেট করা থাকে।

এটা চাইলেই একদম পা পর্যন্ত লং করা যায় আবার খিমার এর মতো লং করেও বানানো যায়। তবে এটার সামনে পিছনে সমান বা ছোট বড় করতে আলাদা জোড়া দিতে হয়না।

খিমার বা জিলবাব বোরখার মতোই পরতে খুবই আরামদায়ক। ম্যাটেরিয়াল চেরি জর্জেট ব্যবহার করার ফলে গরম লাগেনা আবার ভেতরের কাপড় ও দেখা যায়না৷

জিলবাব বা খিমার যেটাই পরা হোক না কেন দুটোই ভীষণ স্মার্ট। খিমার সব বয়সীরা নিলেও জিলবাব আমি মায়েদের জন্য বেশি বানিয়েছি কারন তারা আলাদা স্কার্ট পরতে চান না। একটা লং নিকাব এটাচ জিলবাব তাদের জন্য সুবিধাজনক ও বেস্ট কম্বিনেশন হয়।

জিলবাব ও খিমার নিয়ে আপনাদের জন্য ছোট্ট আলোচনা ছিল। এর বাইরে কোন প্রশ্ন থাকলেও করতে পারেন। আমি সাহায্য করার চেস্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

Categories
Abaya

খিমার সেট

খিমার কি?

কিভাবে পরে?

খিমার একদম লং হয় না সর্ট?

সাথে কি থাকে স্কার্ট না পালাজ্জো?

ম্যাটেরিয়াল কি গরমে আরামদায়ক কিনা?

আবায়া স্টোরির প্রথম খিমার এর ক্রেতা

Hafsa Siddiky

এর পরে আমাদের পেজ এর সব খিমার এর প্রতি সবার আলাদা আকর্ষণ। ও সবাই সব চেয়ে বেশি এই ছবি গুলো দিয়েই আমাকে এই প্রশ্ন গুলো জিজ্ঞেস করেন। তাই ভাবলাম সবাইকে আলোকিত করতে একটা পোস্ট দেয়া যায়।

খিমার সেট

সাধারণত খিমার বলতে নিকাব ও হাতা এটাচ করা একটা বোরখাকেই বোঝানো হয়। যারা আলাদা ভাবে হিজাব ও স্কার্ফ পরতে চান না তাদের জন্য সব চেয়ে আরামদায়ক ও সুবিধার হচ্ছে খিমার।

নিকাব এটাচ থাকার ফলে শুধু উপর দিয়ে মাথার উপরে পরে ফেলে হাতা দুটো ঢুকিয়ে ঝটপট রেডি হয়ে যাওয়া যায়।

খিমার লং হয় হাইট অনুযায়ী ৪৬/৪৮/৫০/৫২ মাথা থেকে। এটা থাকে হাটু বা তার ইকটু নিচে। কারন সাথে স্কার্ট বা পালাজ্জো থাকার ফলে সেট আকারে দেখতে খুবই সুন্দর ও স্মার্ট লাগে।

খিমার সেট

প্রতিটি খিমার চেরি জর্জেট দিয়ে করা। যা গরমে খুবই আরামদায়ক একদম হালকা একটা কাপড় কিন্তু ভেতরে দেখা যাবেনা কি পরে আছে। তাই আমার প্রথম পছন্দ এই ম্যাটেরিয়াল।

**এখানে শুধু দুটো খিমার এর ছবি আছে কালো ও পেয়াজ কালার। যা হাফসার পরনে সেটা একটাই পেয়াজ ও মিস্টি কালার মনে হচ্ছে ছবির জন্য বা আলোর তারতম্য এর জন্য।

খিমার ও খিমার সেট নিয়ে আর কোন প্রশ্ন কি আছে আপনার কাছে? জানাতে পারেন নির্দিধায় আমি সাহায্য করবো তথ্য দেয়ার।

Categories
Abaya

ট্যুর আবায়া

অফিস / স্কুল /পার্টি বা ট্যুর এর আবায়া ভিন্ন হয় কেন?

পরিবেশ অনুযায়ী আবায়া বাছাই করা উচিত কেন?

আমরা যখন কোন পোশাক পরি তার আগে আমরা সব সময় ইকটু হলেও সময় নিয়ে ভাবি যে কোথায় আমরা কোন পোশাক বা রং টা পরছি।।

আমরা যারা বোরখা হিজাব করি তারাও কিন্তু এই ভাবনা টা আরো বেশি করে ভাবি। অনেকেই মনে করেন যারা বোরখা পরে তাদের হয়তো একটাই বোরখা বা আলাদা ওকেশন অনুযায়ী তাদের পোশাক নেই!

ট্যুর আবায়া

একদম ভুল ধারনা। আমরাও অন্য সবার মতো প্রতিটি ওকেশন অনুযায়ী আলাদা বোরখা বা আবায়া কিনে থাকি আবার আমরা সমান ভাবেই জাকজমক পোশাক ও কিনে থাকি।

ট্যুর আবায়া

এই মজার তথ্য গুলো দুবাইয়ের রিসার্চে এসেছে যে যারা আবায়া পরে তারাও প্রতি মাসে অনেক বড় এমাউন্ট টাকা ব্যায় করেন নিজের সাজসজ্জা ও পোশাক এর জন্য৷ যেখানে দেখা যায় তাদের পোশাক আবায়াতে আবৃত থাকলেও তারা সব সময় নিজেদের ফ্যাশন সচেতন রাখেন।

ট্যুর আবায়া

এখানে কোন ধরনের শো অফ এর জন্য না আমরা নিজেদের কাছে ভালো লাগার জন্যেই এই কাজ টা করি। আমাদের স্কুলে পড়াতে যাবার, বাইরে ঘুরতে যাবার, যে কোন পার্টিতে সবার মধ্যমনি হবার বা যে কোন লং ট্যুরে যাবার জন্য আলাদা ভাবে ডিজাইন ও কাপড় এর আরামদায়কতা অনুযায়ী বানানো আছে।

ট্যুর আবায়া

এখানে ৫ টি বোরখার ছবি দেখতে পাচ্ছেন প্রতিটি আলাদা ভাবে ডিজাইন করা আলাদা ভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করার জন্য। আবায়া গুলো সব সময় নিজের ব্যাক্তিত্ব প্রকাশের মাধ্যম।

যে কোন পোশাকের মতোই আবায়া বা বোরখার খেত্রেও তাই মানানসই ওড়না বা হিজাব টা গুরুত্বপূর্ণ। রং ও কাপড় নির্বাচন এর খেত্রে ইকটু সতর্ক থাকলেই যে কোন সাধারণ আবায়া বা বোরখার মাঝেই আপনি আলাদা ভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারবেন।

আমার কাছে তাই মডেস্টির সাথে স্মার্ট ও এলিগেন্ট থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। আমার আবায়া স্টোরির ট্যাগ লাইন ও এটাই ।

আবায়া নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকলে জানাতে পারেন। আমি পরবর্তী পোস্ট এ সব উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

Categories
Abaya story

হেল্পিং হ্যান্ড কাস্টমার

আবায়া স্টোরির একজন সন্মানিত ক্রেতা

কিছু মুহুর্ত হয়না খুশি গুলো প্রকাশ করার মতো সঠিক ভাষা থাকেনা। এই মুহুর্ত টা এমন ছিল! চলুন আসল গল্পে চলে যাই…

আমাদের বাসার হেল্পিং হ্যান্ড একজন তার নাম নাহার। আমি তাকে আপু ডাকি। সে সকালে কিছু কাজ করে দিয়ে যান আমাকে আর মাঝে মাঝেই গল্প করেন তার জীবন ও জীবিকা নিয়ে।

এই বছরের শুরুতেই তার হাসবেন্ড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। একদম শেষ স্টেজ এ এসে ধরা পরেছিল। ১ মাস চিকিৎসা করার আগেই উনি চলে যান না ফেরার দেশে।

নাহার আপুকে নিয়ে লেখার একটাই কারন। উনি কখনো এই তিন বছরে হাসি মুখ ছাড়া কথা বলেনি। এক্সট্রা কোন কাজ করতে বললেও সে খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলে কাল করে দিবেন আজকে তার কাজ আছে কিছু।

আবায়া স্টোরি কালো খিমার

আপু আমার আবায়ার কাজ ও প্যাকেজিং দেখেন প্রতিদিন। আর মাঝে মাঝেই জিজ্ঞেস করেন দাম এর কথা৷ গতকাল সে বললেন সে বেড়াতে যাবেন তাকে যেন একটা কালো খিমার সেট বানিয়ে দেই৷

শুনে আমি এত্তো অবাক ও খুশি হলাম যা বলার মতো না। আমি তাকে বললাম অবশ্যই বানিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ আর কালই তার টা বানাতে দিয়ে এসেছি বাকি অর্ডার এর সাথে৷

সব চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় কি জানেন? সে কোন ডিসকাউন্ট বা ফ্রি চায়নি আমার কাছে৷ এজ এ কাস্টমার সে আমাকে ফুল পেমেন্ট করেই পুরোটা নিত্র চান। এই কথা শুনে এতোটা অবাক হয়েছি যে আমি বোঝাতে পারবোনা কি বলা উচিত!

কারন ইনবক্সে অনেকেই ডিসকাউন্ট চান তাই এটা আমার কাছে খুবই অবাক লেগেছিল। তাই আপুর জন্য শুধু আমার কাপড় এর খরচ ও মজুরি টাই রেখেছি৷

আবায়া স্টোরি কালো খিমার হাতা

আপুর হাতে দেয়ার পরে সুন্দর একটা ছবি তোলার অপেক্ষায় আছি ইনশাআল্লাহ, খিমার টা হাতে আসার পরে৷ আপু কালো খিমার পছন্দ করে অর্ডার করেছেন।

Categories
Customer Reviews

মিতাশা রহমান খান-খিমার সেট

Sirajum Munira

আপু দেখেন ত চিনেন নাকি ।

বেশি কিছু বলব না,জাস্ট ওয়াও এক্টা খিমার সেট।যারা খিমার পরেন আপুর থেকে একবার হলেও বানাবেন। আম্মুর জন্য নেয়া খিমার সেট,আজ আমি পরে এক্টু মডেলিং করলাম ।

আবায়া স্টোরি

Hafsa Siddiky

আপু ছবি দেখার পর থেকেই লোভ লেগেছিল কবে পরব,আমি রেগুলার খিমার পরি না তাই আমার জন্য নেয়া হয় নি,তাতে কি আমার আম্মুর জন্য নিয়েছি।আর আমি এখন আম্মুর বাসায় কুমিল্লা বেড়াতে আসছি তাই এই সুযোগে মডেলিং করে ফেল্লাম।করোনার জন্য বাসার বাইরে না যাওয়ার কড়া নির্দেশ তাই ঘরে বসেই এক্টু খানি ঢং।

ভিডিও ক্রেডিট আমার ভাইয়া ।

Minhazur Rahman Khan

আমি

মিতাশা রহমান খান

ওনার-Hijab shop online store

Fresh & healthy

Categories
Abaya story

আবায়া স্টোরির বেস্ট পার্ট

আবায়া স্টোরির বেস্ট পার্ট কি??

এর অসম্ভব স্মার্ট ও অসাধারণ ক্রেতারা

মায়ের জন্য স্মার্ট ব্রাউন রং টা বেছে নেন অনেকেই। এর মাঝেই অন্যতম হচ্ছেন আমাদের ফ্রেশ এন্ড হেলদির

Mitasha Rahman Khan

আপু।

আবায়া স্টোরি

আন্টির যেমন অসম্ভব পছন্দ হয়েছিল খিমার সেট। আর আন্টিও খুব সুন্দর করে ছবি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে মিতাশা আপু নিজে পরেও এই অসাধারণ ভিডিও টা দিয়েছিলেন আমাদেরকে।

মুগ্ধ হয়ে দেখেছিলাম আপুর প্রেজেন্টেশন দেখেছিলাম। আর আপুদের অসম্ভব সুন্দর বাসা টা  আপুর ভিডিও দেখে আপনারাও মুগ্ধ হবেন নিশ্চিত।

Categories
Abaya story

Customer story – Nabiha Nusaiba

 মাঝে মাঝে মনে হয় আমি একা আবায়া নিয়ে পাগল না ।

আমার কাস্টমার আপুরাও আছেন!

এই আবায়া দুটো বানাতে যেয়ে আসলেই এবার খুব মজা হয়েছে।  

প্রথমে Nabiha Nusaiba

আপুর জন্য করার রিকোয়েস্ট ছিল। এই প্রিন্ট এর ছবি দেখার পরে

Sabrina Hossain Tuki

ও বললো সেও এই ডিজাইনে নিতে চায়!

বেশ ভালো কথা তবে ২য় বার কাপড় কিনতে যেয়ে দেখি স্টক আউট!! কোন দোকানে নেই! প্রতিবার খুজে খুজে একটা দোকানেই খুজে পেলাম তাও একদম যতটুকু লাগবে অতটুকুই আছে। দোকানদার এই কথা বুঝতে পেরে দাম বাড়িয়ে দিলেন!

কাস্টমাইজড অর্ডার আবায়া

আর আমি যেহেতু কথা দিয়েছি তাই সেই দামেই কিনে আনলাম! আলহামদুলিল্লাহ দুটো দুই প্রিন্ট হলেও ইনার সেম ব্রিক কালার দিয়ে করে দিতে পেরেছি৷ আর দুটোই দুজনের খুব পছন্দ হয়েছে মাশা আল্লাহ।

কাস্টমাইজড অর্ডার গুলো কাজ করা যেমন কস্টের ইন্টারেস্টিং ব্যাপার গুলোর জন্য আর কাস্টমার এর পজিটিভ ফিডব্যাক এর জন্য আনন্দের।

কাস্টমাইজড অর্ডার আবায়া

নাবিহা আপু তিন টা আবায়া নিয়েছেন সেম আমার ডিজাইন গুলোর। এখন আরো দুটো বুক করেছেন! তাই বলি পাগলামি আমি একা করিনা আবায়া নিয়ে ।

উপরে সফট জর্জেট ও ভেতরে ডাবল জর্জেট এর ইনার এর জন্য গরমেও আরামদায়ক হবে। কারন একটা ভারি ও একটা হালকা দিয়ে কম্বিনেশন করা হয়েছে।

আপনাদের কি কোন মজার ঘটনা আছে এমন কাজ নিয়ে?

Categories
Customer Reviews

হাফসা সিদ্দিকা – বোরখা

এবার আমি অনেক জ্বালিয়েছি মুনিরা আপুকে! ছবির বোরকা টার জন্য আপুকে এবার বেশ হ্যাপা পোহাতে হয়েছে কারণ আমার হাতে সময় কম, এদিকে ট্যুরের ডেট ও ফিক্সড হয়ে গেছে আর আমি একদম শেষ মুহূর্তে এসে আপুকে খোচানো শুরু করেছি আমার আবায়া লাগবেই!!! তাও একদম কাস্টমাইজড!

Hafsa Siddiky- বোরকা

আপুর যে ধৈর্য, মাশআল্লাহ একদম মনমতো সুন্দর একটা বোরকা বানিয়ে দিয়েছে। যেদিন ট্যুরে বের হয়েছি, তার একদিন আগে পিক করেছি এটা।

আপু আমাকে ৩-৪ দিনে এটা রেডি করে দিয়েছে।

অনেক ঘের এর আবায়া গুলো আমার বেশি পছন্দ, আর এটা অনেক বেশি ঘের।

Sirajum Munira

আপু এটার জন্য ও ধন্যবাদ দিবোনা আমার জ্বালানো এভাবেই সহ্য করবেন।

Categories
Abaya story

হাফসা সিদ্দিকা – আবায়া স্টোরির প্রকৃতি কন্যা

আমার এক পাগলী ক্রেতার গল্প

আমার এই ক্রেতাকে আমার চেয়ে বেশি চেনেন আপনারা। বরং তার জন্যেই অনেকেই আবায়া স্টোরির খিমার ও আবায়া কে চেনেন।

এই পর্যন্ত কতো গুলো আবায়া গাউন তার দখলে আছে সেই হিসেব আমি করিনি ও করেনা । কারন সে রিপিট বললে ভুল হবে পার্মানেন্ট কাস্টমার। যে কোন নতুন ডিজাইন তার জন্যই সবার আগে করতে হয় আমার আলহামদুলিল্লাহ। এটাও এমন কিছু ছিল।

Hafsa Siddiky-আবায়া স্টোরির প্রকৃতি কন্যা

এই আবায়ার ডিজাইন টা ছিল কাধের হাতার কাছে বেশি কুচি, একদম বিশাল ঘের ওয়ালা ও সামনে হাটু পর্যন্ত ফাড়া একটা ডিজাইন। তবে এই আবায়া এক দিনে কাপড় কিনে বানাতে দেয়ার ফলে কারিগর সামনের ফাড়াটা এতো ছোট দিয়েছে যে আমি খুব রাগারাগি করেছিলাম তার সাথে।

তবে আমার ক্রেতা এতো লক্ষী সে বলে আপু কোন সমস্যা নেই৷ এটাই পার্ফেক্ট হয়েছে। যদিও আমি বলেছি এটা নিয়ে আবার ঠিক করে ফাড়া টা দিব। তবে এই ছবি গুলো দেখে মনে হচ্ছে এভাবেও অনেক ভালো লাগছে মাশা আল্লাহ।

আমি নিজে সব সময় প্রকৃতির মাঝে ছবি তুলতে পছন্দ করি আর ওর সব ছবি তাই আমার অসম্ভব ভালো লাগে অসম্ভব

মজার একটা বিষয় দেখাই। ওর সব ছবির স্টাইলের সাথে আমার ছবি তোলার ধরন মিলে যায়। আর এবার আবায়াও মিলে গেছে আগে খেয়াল করিনি একদম!

Hafsa Siddiky

শেষ ছবি টা দেখো